• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

হাঁটু প্রতিস্থাপন কীভাবে করতে হয়?

দুর্ঘটনায় কিংবা হাড় ক্ষয় হয়ে গিয়ে অনেকের হাঁটু অকার্যকর হয়ে পড়ে৷ এসব রোগীর দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই৷ তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে হাঁটু প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা রয়েছে৷  এখন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হাঁটু প্রতিস্থাপন করা যাচ্ছে সহজেই৷  এসব রোগী অনায়াসে ৩০-৩৫ বছর কৃত্রিম হাঁটু নিয়ে চলাফেলা করতে পারেন অনায়াসে৷ হাঁটু প্রতিস্থাপন করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন অর্থোপেডিক ও অর্থোপ্লাস্টি বিশেষজ্ঞ

দুর্ঘটনায় কিংবা হাড় ক্ষয় হয়ে গিয়ে অনেকের হাঁটু অকার্যকর হয়ে পড়ে৷ এসব রোগীর দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই৷ তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে হাঁটু প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা রয়েছে৷  এখন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হাঁটু প্রতিস্থাপন করা যাচ্ছে সহজেই৷  এসব রোগী অনায়াসে ৩০-৩৫ বছর কৃত্রিম হাঁটু নিয়ে চলাফেলা করতে পারেন অনায়াসে৷
হাঁটু প্রতিস্থাপন করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন অর্থোপেডিক ও অর্থোপ্লাস্টি বিশেষজ্ঞ তাপস কর৷
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিভাইস বসিয়ে দেওয়াই হচ্ছে হাঁটু প্রতিস্থাপন৷ অকার্যকর নি বা হাঁটু সার্জারির মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করে ধাতব বা প্লাস্টিকের কৃত্রিম হাঁটু স্থাপনকে নি রিপ্লেসমেন্ট বলে৷ বিশ্বের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি হাঁটু প্রতিস্থাপন এখন অনেক কম খরচে দেশেই হচ্ছে৷ সাধারণত ট্রমাটিক নি, জয়েন্ট ডেস্ট্রাকশন, জয়েন্ট স্টিফনেস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিও আর্থ্রাইটিসের চূড়ান্ত পর্যায় ইত্যাদি নানা কারণে হাঁটু অকার্যকর হয়ে গেলে রোগীর বয়স ও জীবনযাপন প্রণালী পর্যালোচনা করে হাঁটু প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আসায় দিন দিন কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে মানুষের৷ বিশেষ করে কায়িক পরিশ্রম না করা ও প্রযুক্তিনির্ভর জীবনব্যবস্থা মানুষকে খুব অলস করে দিচ্ছে৷ দেহ ভারি হয়ে কোমর ও হাঁটুর জয়েন্ট নষ্ট করে অসহনীয় অবস্থা তৈরি হচ্ছে৷ হাড় ক্ষয়, হাড়ের টিউমার, অস্থিতে রক্ত সঞ্চালন বন্ধসহ অন্যান্য অসুখ হলে কোমর বা হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়৷ তখন হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যায় এবং অন্যান্য চিকিৎসা দিয়েও রোগীকে সুস্থ করে তোলা যায় না৷ চিকিৎসকরা এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ হাঁটু প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন৷ সাধারণত ষাটোর্ধ্ব রোগীদের এটা বেশি করা হলেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উন্নত ও দীর্ঘমেয়াদি কৃত্রিম অস্থিসন্ধি ব্যবহার করে অল্পবয়সী রোগীদেরও হাঁটু প্রতিস্থাপন হচ্ছে৷
মানবদেহের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমেরিকা, জাপানে টাইটেনিয়াম ইমপ্লান্ট (এক ধরনের মেটাল দিয়ে কৃত্রিম জয়েন্ট তৈরি) করা হয়৷ মাত্র এক থেকে দুই ঘণ্টার এই অস্ত্রোপচারের পর এক বা দুদিন রোগীকে হাসপাতালে থাকতে হয়৷ এরপরই উঠে বসা, হাঁটাচলা, ব্যায়াম, সিঁড়ি ভাঙাসহ সব ধরনের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারে৷ এতে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না৷ চিকিৎসার পর রোগী ২০ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন তেমন কোনো সমস্যা ছাড়াই৷
কৃত্রিম জয়েন্ট প্রতিস্থাপনের পর খেলোয়াড়রাও তাদের খেলাধুলা চালিয়ে যেতে পারেন৷ সাধারণত হাঁটু প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার নিরাপদ৷ অন্যান্য অস্ত্রোপচারের মতো এতে কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে৷ এ জন্য পায়ের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে বিশেষ কমপ্রেশন ডিভাইস যেমন- হাঁটু পর্যন্ত লম্বা ইলাস্টিক মোজা এবং ব্যায়ামের পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়৷ অনেক সময় শারীরিক আসন নতুন প্রতিস্থাপিত অস্থিসন্ধি থেকে কৃত্রিম অংশকে ছুটিয়ে দিতে পারে৷ এজন্য রোগীর অস্ত্রোপচারের পর কখনোই কোমর সন্ধি বা হিপ জয়েন্টকে ১০০ ডিগ্রির বেশি বাঁকানো এবং পা দুটোকে শরীরের মাঝামাঝি বরাবর ভাঁজ করা ঠিক হবে না৷