ড. কুমারেশ চক্রবর্তী
ইরানের বিশাল প্রশস্ত ঝাঁ চকচকে হাইওয়ে। সেখানে একটি গাড়ি ছুটে চলেছে। গাড়ির ভেতর আনন্দময় একটি পরিবার। গাড়ির মধ্যে চলেছে মজার মজার ইরানি ও ইংরাজি গান, মাঝেমধ্যে চলছে জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমার গান। সকলেই খুব মজায় এবং আনন্দে আছেন। হঠাৎ মুহূর্তের মধ্যে অন্য একটি গাড়ির অসতর্কতায় ঘটে গেল এক ভিষন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে উদ্ধার করল দুর্ঘটনা গ্রস্থ পরিবারকে । কিন্তু সবাইকে বাঁচানো গেল না। মৃত্যু হলো পরিবারের গিন্নী এবং শিশু কন্যার। অথচ এই পরিবারের কর্তা এক বিখ্যাত চিকিৎসক। এই ঘটনায় তার জীবন সমস্ত উলটপালট হয়ে গেল। শোকে দুঃখে কষ্টে পাথর হয়ে গেলেও ভেঙে পড়লেন না। প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারালেন, হারালেন তার বড় আদরের কন্যাটিকে, তবুও ফিনিক্স পাখির মত আবার উঠে দাঁড়ালেন। দুই পুত্র এবং এক কন্যাকে বড় করতে হবে, মানুষ করতে হবে। তাই আবার নতুন করে সংসারে মন দিলেন। কিন্তু না, সাধারণত যা ঘটে এখানে তা হল না। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সকলেই আবার একটা নতুন বিয়ে করে। কিন্তু ইনি তা করলেন না, তিনি মৃত প্রিয়তম পত্নীর স্মৃতি এবং কন্যার ভালবাসাকে বুকে আঁকড়ে ধরে অন্য দুই পুত্র এবং কন্যাকে মানুষ করার জন্য, বড় করার জন্য, এক কঠিন জীবন সংগ্রাম শুরু করলেন ।একসঙ্গে চলল চিকিৎসার মাধ্যমে সমাজসেবা। ইনিই নামজাদা চিকিৎসক ডাক্তার মাসুদ পেজেশকিয়ান, সদ্য নির্বাচিত ইরানের প্রেসিডেন্ট।
এই ব্যতিক্রমী, সংস্কারক প্রেসিডেন্ট মাসুদ বিজ্ঞানমনস্ক প্রগতিশীল এবং মানবতাবাদী ব্যক্তিত্ব হিসেবেই ইরানে পরিচিত। ইরানের বাইরেও তাঁর এই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কথা অনেকেরই জানা। তাই ইরানের এবং সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের অনেক প্রত্যাশা মাসুদের কাছে। তাঁদের আশা, তিনি যেমন চিকিৎসা বিদ্যার মাধ্যমে মানুষকে রোগ মুক্ত করেন, তেমনি ধর্মান্ধতার নাগপাশ থেকে ইরানকে উদ্ধার করতে পারবেন, সারাতে পারবেন ইরানের ধর্মান্ধ রোগ।
ইরানের সামাজিক ও রাজনৈতিক জগতে মাসুদ প্রগতিশীল সমাজ সংস্কারপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত। তিনি ধর্মকে অস্বীকার করেন না। কিন্তু ধর্মের গোড়ামি, ধর্মের কুসংস্কার এবং ধর্মের মধ্যে ঘৃণা ও হিংসা সমর্থন করেন না। সমর্থন করেন না বর্তমান কঠোর হিজাব প্রথাকে। তাঁর ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, কেউ যদি হিজাব পড়তে চায়, তিনি পড়ুক কোন বাধা নেই। কিন্তু যে পড়তে চায় না তাকে কেন জোর করে পড়ানো হবে, কেন নারীর অধিকার কে, তার ব্যক্তি স্বাধীনতাকে মর্যাদা দেয়া হবে না ? মাসুদ ছাত্র জীবন থেকেই হিজাব প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন! মনে আছে ? মাত্র দু’বছর আগে ইরানের শিক্ষিত তরুণী ছাত্রী মাহসা শুধুমাত্র হিজাব ঠিকমত পরিধান করেননি বলেই তাকে নীতি -পুলিশ অমানবিক মারধর করে গ্রেফতার করে এবং নীতি-পুলিশের হাতে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। এই মধ্যযুগীয় নারকীয় হত্যার বিরুদ্ধে ডাঃ মাসুদ সোচ্চার হোন, পথে নাবেন ,আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি মাশার স্বপক্ষে জনমত গঠন করতে থাকেন ।
তিনি বলেন, “একজন তরুণীকে হিজাব ঠিকমত না পড়ার জন্য হত্যা করে তার মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া ইরানি প্রজাতন্ত্রের নীতি ও আদর্শ বিরোধী!” তিনি আরো বলেন, “এই আচরণ অবশ্যই ইসলাম বিরোধী, হিজাব বাধ্যতামূলকভাবে পড়ার কথা কোরানে কিংবা ইসলাম ধর্মের কোথাও বলা হয়নি অথচ একদল স্বার্থান্বেষী, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ইসলামী গুরু বলপূর্বক এই প্রথাকে টেনে নিয়ে চলেছেন। এটা ইসলামের সাম্য ও শান্তিনীতির পরিপন্থী, কোরআনের আদর্শ বিরোধী”। মূলত মাসুদের নেতৃত্বে ও অন্যান্য সংস্কারবাদী রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও ব্যক্তিদের প্রভাবে এই আন্দোলন সমগ্র ইরানে আলোড়ন সৃষ্টি করে! ছাত্র-ছাত্রী সহ সাধারণ মানুষ পথে নেমে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। আন্দোলনে উত্তাল সেইসময়ের ইরানে প্রায় প্রতিদিনই জনতা পুলিশ সংঘর্ষ হয়েছে এবং পুলিশের গুলিতে ও অত্যাচারে বহু তরুণী সহ,অনেক মানুষ নিহত হয়েছে। ইরানের সেই আন্দোলনের ঢেউ শুধুমাত্র ইরানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী রাষ্ট্রসহ সমগ্র বিশ্বে ইসলামি রাষ্ট্রে হিজাব বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বহু দেশের সরকার হিজাব নিয়ে করাকরি আদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। এমনকি ইরানেও কিছু সময়ের জন্য হিজাব সংক্রান্ত বাধা নিষেধ শিথিল হয় ।
সেই প্রগতিশীল ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ আজ ইরানের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। অথচ নির্বাচনের আগে ডাক্তার মাসুদকে কেউ পাত্তাই দেয়নি। মোট চারজন প্রার্থীর মধ্যে গুরুত্ব এবং জয়ের সম্ভাবনার দিক দিয়ে মাসুদ ছিলেন চতুর্থ। কিন্তু গত ২৮শে জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে সবাইকে অবাক করে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে যান ডাক্তার মাসুদ। কিন্তু ইরানের সংবিধান অনুসারে প্রয়োজনীয় ভোট না পাওয়ার জন্য আবার নতুন করে নির্বাচন হয় প্রথম দুই প্রার্থীর মধ্যে। সেই নির্বাচনে অর্থাৎ দ্বিতীয় দফার (পাঁচ জুলাই) নির্বাচনে ডঃ মাসুদ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ ভোটে জয় লাভ করেন এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটের থেকে অনেক বেশি ভোট পান। ৫ ই জুলাই সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, ডাক্তার মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। আনন্দে আত্মহারা ইরানের মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করেন। আশা প্রকাশ করেন এবার তারা হয়তো ধর্মান্ধ ইরানের সংকীর্ণ ধর্মীয় অন্ধ কুসংস্কার এবং কুপপ্রথার নাগপাশ থেকে মুক্তি পাবেন। ডাক্তার মাসুদ ইরানের এই রোগ নিশ্চয়ই সারিয়ে তুলবেন।
ইরানের মানুষের এই প্রত্যাশা সৃষ্টি করেছিলেন পেজেশকিয়ান নিজেই। কারণ নির্বাচনের অনেক আগে থেকে এবং নির্বাচনের সময় প্রতিটি নির্বাচনী সভাতে তিনি খুব পরিষ্কার করে কয়েকটা সংস্কারের কর্মসূচি মানুষের কাছে রেখেছিলেন। এই কর্মসূচিগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ গুলি হল, প্রথমত ইরানে ধর্মীয় কাঠামো নষ্ট না করেই ধর্মীয় সংস্কার তিনি করবেন, সোজা কথায় তিনি ইরানের মাটি থেকে বহু যুগ ধরে চলে আসা ধর্মীয় কুসংস্কার এবং ধর্মান্ধতা দূর করবেন। দূর করবেন ধর্মীয় হিংসা এবং জাতিতে জাতিতে ভেদাভেদ ও জাতি দাঙ্গা। দ্বিতীয়তঃ তিনি বলেছিলেন, হিজাব তুলে দেয়া না হলেও কাউকে জোর করে হিজাব পড়তে বাধ্য করা হবে না। যার ইচ্ছে সে সেই ভাবেই পড়বে। ইচ্ছে না হলেই হিজাব পরবে না। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, ইরানে আর কোন ‘মশাহ আমিনি’ হত্যা হতে দেবেন না। তৃতীয়ত তার প্রতিশ্রুতি ছিল, অর্থনৈতিক দিক থেকে ইরানকে আরো শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করা। চতুর্থত, তিনি বলেছিলেন পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন কারণ তিনি মনে করেন আমেরিকা সহ পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সহযোগিতা এবং সুসম্পর্ক না থাকলে ইরানের বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সম্ভব নয়। পঞ্চমত,মাসুদ বলেছিলেন, আমি নারী স্বাধীনতা এবং মহিলাদের অধিকারে বিশ্বাসী সুতরাং এই ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ষষ্ঠত, তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, দেশের গরীব মানুষ এবং শ্রমিক কর্মচারীর দারিদ্র দূর করতে সচেষ্ট হব। সপ্তমত, শিক্ষার প্রসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া সেন্সারশীপ বাতিল করা, নীতি -পুলিশ বন্ধ করে দেয়া প্রভৃতি!
এই সব প্রতিশ্রুতির মধ্যেই ছিল নির্বাচনে জয় লাভের মূলমন্ত্র। কারণ এর আগে কখনোই কোন প্রেসিডেন্ট বা শাসক এই ধরনের উদার সংস্কারমুখী কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেননি। তবে নির্বাচনের পরে ডাক্তার মাসুদ তার কর্মসূচি কতটা রুপায়ন করতে পারবেন সে ব্যাপারে কিছুটা সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কারণ মাসুদের সদিচ্ছা থাকলেও কট্টর উগ্র ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খমেনি এইসব সংস্কার করতে দেবেন কিনা, তাতেই সন্দেহ থেকে যাচ্ছে। ইরান সংবিধান অনুসারে সরকারের যে কোন প্রস্তাব বা কর্মসূচি আয়াতুল্লা বাতিল করে দিতে পারেন। তবে এটাও ঠিক যে সরকারের সদিচ্ছা থাকলে, মানুষ সঙ্গে থাকলে,, কোন শক্তি ভালো কাজকে আটকে রাখতে পারে না। তাছাড়া দেশের মানুষ ছাড়াও বহু রাজনৈতিক দল ও নেতা, ডাক্তার মাসুদকে নির্বাচনের আগেই সমর্থন জানিয়েছিলেন যার মধ্যে আছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোঃ খাতমির এবং মধ্যপন্থী নেতা হাসান রোহানি।
মাসুদ রাজনীতিতে আসার আগে ছিলেন তাবরিচ ইউনিভার্সিটি অফ মেডিকেল সাইন্স এর হার্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান। তাঁর প্রিয়তমা পত্নী ছিলেন ফতেমা মাঝিদি, মাসুদের জন্ম ১৯৫৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। ২০০১ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পদ গ্রহণ করে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করেন।
আন্তর্জাতিক প্রভাব
ইরানে মাসুদের জয়লাভ যথেষ্ট গভীর প্রভাব বিস্তার করবে এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই। শুধু দেশের মধ্যে নয় এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক রাজনীতিকেও প্রভাবিত করবে।১, পশ্চিমের রাষ্ট্রগুল বিশেষ করে আমেরিকা ব্রিটেন প্রভূতি রাষ্ট্রগুলির বিরোধিতা অনেকাংশেই কমবে এবং এইসব রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ইরানের নতুন করে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আন্তর্জাতিক রাজনীতিকেও প্রভাবিত করবে। ২, প্যালেস্টাইন- ইসরাইল যুদ্ধের ওপরেও এর প্রভাব পড়তে পারে কারণ কট্টরপন্থী রাইসি সরকার যে আক্রমণাত্মক নীতি নিয়ে চলতো আশা করা যায় বর্তমান সরকার তা করবে না, ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে একটা সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে। ইসরাইল- প্যালেস্টাইন যুদ্ধে একটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে! তিন নম্বর, ইরানের উগ্র ধর্মীয় আচরণ বহু দেশকেই বিরক্ত করেছিল ফলে অনেক দেশের সঙ্গেই ইরানের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের বহু মুসলিম দেশের সঙ্গে ইরানের সুসম্পর্ক ছিল না!
কিন্তু ডাক্তার মাসুদের আমলে সেই সম্পর্ক পুনরায় তৈরি হতে পারে অর্থাৎ ইরান আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যে প্রায় এক ঘরে অবস্থা থেকেও মুক্তি পেতে পারে! ইরানের অভ্যন্তরীণ ধর্মীয় সংস্কার অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলিকে সংস্কার করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করা যায়। বিশেষ করে নারীদের প্রতি যে অন্যায় অবিচার ও নির্যাতন হয় তা অনেকাংশেই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।৬, বিশেষজ্ঞ মহল থেকে মনে করা হচ্ছে যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পরিবর্তিত হবে! ইরান বেপরোয়া ভাবে যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল তা কিছুটা স্থিমিত হবে! এখন হয়তো শান্তিপূর্ণভাবে পারমাণবিক কর্মসূচির কাজ চলবে এবং এ ব্যাপারে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ এবং পশ্চিমের রাষ্ট্রগুলির শর্ত মেনেই ইরান কাজ করবে! ফলে ইরানের উপর যে সমস্ত অর্থনৈতিক ও অন্যান্য বিজ্ঞান প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞা আছে তা হয়তো প্রত্যাহিত হতে পারে !এক কথায় মাসুদের নির্বাচন ইরান সহ সারা বিশ্বেই প্রভাব ফেলবে। ইতিমধ্যেই ইরানের শত্রু মিত্র বহু রাষ্ট্র মাসুদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, তার মধ্যে বলাবাহুল্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আছেন! এই মুহূর্তে আশা করা যায় নতুন সরকার আসার ফলে ইরানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরো দৃঢ় এবং মজবুত হবে।
২০২৪ পরিবর্তনের বছর হিসেবেই চিহ্নিত থাকবে! কারণ এই সাত মাসেই সারা বিশ্বে ৫০ টি রাষ্ট্রের নির্বাচন হয়েছে যার মধ্যে ২৫ টি রাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তিত হয়েছে। সর্বশেষ ব্রিটেন এবং ইরান! ভারত একটুর জন্য বেঁচে গেছে, কিন্তু বেঁচে থাকবে তো ?