• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

অভিষেক আচার্য, বারাকপুর: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ উঠল উত্তর বারাকপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ইছাপুরের বাসিন্দা অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রসূন সরকারের বিরুদ্ধে এনিয়ে বারাকপুর কমিশনারেটের মহিলা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যুবতীর দাবি, যে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁর আবার একাধিক বিয়েও রয়েছে। সূত্রের খবর, অভিযোগ নিয়ে

অভিষেক আচার্য, বারাকপুর: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ উঠল উত্তর বারাকপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ইছাপুরের বাসিন্দা অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রসূন সরকারের বিরুদ্ধে এনিয়ে বারাকপুর কমিশনারেটের মহিলা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

যুবতীর দাবি, যে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁর আবার একাধিক বিয়েও রয়েছে। সূত্রের খবর, অভিযোগ নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন ওই কাউন্সিলর। মিলছে না খোঁজ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘোলা থানা এলাকার বাসিন্দা নির্যাতিতা যুবতী পশুপ্রেমী হিসাবেই পরিচিত। সেই সূত্র ধরেই ২০২১ সালে ইছাপুরের একটি অসুস্থ পথ কুকুরের চিকিৎসা করানো নিয়েই কাউন্সিলরের সঙ্গে তাঁর আলাপ। এরপর দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। যুবতীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেন প্রসূন। এরপর যুবতী প্রসূনের একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানতে পারলে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।

নির্যাতিতা অভিযোগ করে বলেন, উত্তর বারাকপুর পুরসভার কাউন্সিলর প্রসূন সরকারের সঙ্গে আমার ২ বছর ধরে সম্পর্ক। আমাকে তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পরে জানতে পারি, ওনার সঙ্গে একাধিক মহিলার সম্পর্ক রয়েছে। এনিয়ে বলাতে উনি আমাদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে খুব বাজে ব্যবহার করেন। আমি ওঁর শাস্তির দাবি করছি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, এইরকম মানুষ কী করে তৃণমূলের পদে থাকতে পারেন?”

এই নিয়ে অভিযুক্তের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে উত্তর বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ জানান, ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমের থেকেই প্রথম জানতে পারি। ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে হবে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকেও জিজ্ঞাসা করব। তারপর নিয়মমাফিক যা হওয়ার সেটাই হবে।

কাউন্সিলরের বাবা যদিও বলছেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ। উল্টে যে যুবতী অভিযোগ করছেন, তাঁকে মানসিক রোগী বলেও তোপ দেগেছেন। কিন্তু কোথায় গেল ছেলে? তাঁর কোনও উত্তর তাঁর কাছে নেই। অন্যদিকে অভিযোগকারী যুবতী বলছেন, “ও আগে থেকে আমাকে নোংরা নোংরা মেসেজ পাঠাত। তবে একটা সময়ের পর ওকে আমি মেনে নিই। সম্পর্কেও থাকি।

তবে আমি ওর কোনও সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাই। ও বলে কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু কিছুদিন আগে জানা যায়, ওনার তিনটে বিয়ে। কিন্তু, পুুরোটাই আমার কাছে অস্বীকার করেছিলেন। আমি আড়াই বছর ধরে কিছুই জানতাম না। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ বলছে, আমরা বিষয়টা দেখছি।