দিল্লি, ৭ জুলাই– অগ্নিপথ প্রকল্প শুরু থেকেই নানান বিতর্ক, নানান জল্পনা৷ এই প্রকল্পের মেয়াদ থেকে শুরু করে অগ্নিবীরদের ভবিষ্যত নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা৷ এবার শুধু বিরোধী নয়, কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাতে পারে সেনাবাহিনীও৷ অগ্নিপথ প্রকল্পের বয়সসীমা ২১ বছর থেকে বাড়িয়ে ২৩ করার আবেদন জানাতে চলেছে সেনাবাহিনী৷ একইসঙ্গে অগ্নিবীরদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে৷
উল্লেখ্য, দু’বছর আগে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যই আনা হয়েছিল অগ্নিপথ প্রকল্প৷ যেখানে সাডে় ১৭ বছর থেকে ২১ বছর বয়সীদের সেনার তিন বাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়৷ মোট ৪ বছর সেনা বাহিনীতে কাজ করার সুযোগ মেলে৷ এর মধ্যে ৬ মাস প্রশিক্ষণ এবং বাকি সাডে় ৩ বছর সেনা বাহিনীতে পরিষেবা দিতে পারেন অগ্নিবীররা৷ প্রকল্পের মেয়াদ শেষে, ২৫ শতাংশ অগ্নিবীররা স্থায়ীভাবে সেনাবাহিনীতে কাজ করার সুযোগ পান৷ বাকিদের এককালীন মোটা অঙ্কের পেনশন এবং পুলিশ সহ অন্যান্য সরকারি চাকরিতে অগ্রগণ্যতা দেওয়া হয়৷
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে দাবি করেছিলেন, সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন কোনও অগ্নিবীরের মৃতু্য হলে, তাঁকে যেমন শহিদের তকমা দেওয়া হয় না৷ তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয় না সেনাবাহিনীর তরফে৷ তবে সেনার তরফে রাহুলের এই দাবি নসাৎ করে জানানো হয়েছে, শহিদের পরিমাণকে ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে৷ বাকি টাকাও দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে৷
তবে এই প্রকল্প নিয়ে বিস্তর বিতর্কও হয়েছে৷ বিরোধীদের দাবি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে স্থায়ী নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে৷ পাশাপাশি প্রকল্পের মেয়াদ শেষে অগ্নিবীররা অন্য কোনও কাজেও সুযোগ পাচ্ছে না৷
সূত্রের খবর, এবার সেনাবাহিনীর তরফে অগ্নিপথ প্রকল্পে কিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেওয়া হবে কেন্দ্রের কাছে৷ প্রথম প্রস্তাবই হবে অগ্নিপথ প্রকল্পে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২১ বছর থেকে বাডি়য়ে ২৩ বছর করা৷ এতে স্নাতক পাশরাও এই প্রকল্পে যোগ দিতে পারবে এবং তাদের বিভিন্ন টেকনিক্যাল কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে৷
এর পাশাপাশি অগ্নিবীরদের মধ্যে ৫০ শতাংশকে সেনাবাহিনীতে কাজের সুযোগ দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হবে৷ বর্তমানে ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরদেরই সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হয়৷ এরফলে ৪ বছরের মেয়াদ শেষের পরে একটা বড় শূন্যস্থান তৈরি হয় সেনাবাহিনীতে৷ সেই শূন্যস্থান পূরণ করতেই অগ্নিবীরদের সেনায় নিয়োগের হার বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে৷