• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

আগামীকাল বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকলেন স্পিকার

নিজস্ব প্রতিনিধি – সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ গ্রহণ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। বরানগর ও ভগবানগোলায় উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেও দুই প্রার্থী এখনও শপথ নিতে পারেননি। এই আবহেই এবার শুক্রবার একদিনের বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কি ওই দিনেই শপথ নেবেন সায়ন্তিকা-রেয়াত ? এই প্রশ্ন করা হলে স্পিকার সেইভাবে স্পষ্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি – সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ গ্রহণ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। বরানগর ও ভগবানগোলায় উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেও দুই প্রার্থী এখনও শপথ নিতে পারেননি। এই আবহেই এবার শুক্রবার একদিনের বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কি ওই দিনেই শপথ নেবেন সায়ন্তিকা-রেয়াত ? এই প্রশ্ন করা হলে স্পিকার সেইভাবে স্পষ্ট করে কিছুই জানান নি। জানা গিয়েছে, বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে বিধানসভার বিজ়নেস অ্যাডভাইজ়ারি কমিটির বৈঠক হবে। তারপর দুপুর ২ টো থেকে অধিবেশন শুরু হবে।

স্পিকার বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনের কথা জানান। সেই সঙ্গেই শুক্রবার বিশেষ অধিবেশনে স্ট্যান্ডিং কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে। শুক্রবার উপনির্বাচনে জয়ী দুই প্রার্থীকে স্পিকার রাজ্যপালের অনুপস্থিতিতেই শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন বলেও সূত্রের খবর। যদি সেটাই হয়, তাহলে বিষয়টি নজিরবিহীন হবে বলেই মত দিচ্ছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।

জানিয়ে রাখা ভালো, উপনির্বাচনের মাসখানেক কেটে গেলেও রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতের জেরে নব নির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ হয়নি। রাজভবনের পক্ষ থেকে শপথ নেওয়ার জন্য দুজনকে চিঠি পাঠানো হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রাজভবনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। সেজন্য নিরাপত্তার কারণ দেখিয়েই রাজভবনে সায়ন্তিকা যাবেন না বলেই জানিয়ে দেন। অন্যদিকে রায়াত হোসেন সরকার রাজ্যপালের চিঠি পাননি বলে উল্লেখ করেছেন।

এই সমস্যার কারণে স্পিকারও বারবার রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে সমস্যা আরও বেড়েছে। মাঝখানে আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যদিও পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে রাজ্যপালকে পুনরায় ওই আবেদন করতে বলেছে আদালত। ফলে রাজ্য ও রাজভবনের জটিলতা থেকেই যাচ্ছে। সব মিলিয়ে জট কাটার বদলে বেড়েই চলেছে। শুক্রে অধিবেশনের পর ঠিক কী হয়, সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।