শীর্ষ আদালতে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি। তাঁর আর্জি, পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত প্রমাণিত হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি। আবেদনে আরও বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশ-সহ অন্যান্য রাজ্যে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, এমন ঘটনার সংখ্যা কত , সেসব নিয়ে স্টেটাস রিপোর্ট দিতে হবে। এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার ক্ষেত্রে কোনওরকম নির্দেশিকা আছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এদিকে বুধবার সকালেই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেখানে স্বঘোষিত ধর্মগুরু সুরজ পাল ওরফে ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরির নাম নেই। রয়েছে তাঁর ‘মুখ্য সর্দার’ অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ সহকারীর নাম। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, আয়োজকরা অনুমতি নেওয়ার সময় সৎসঙ্গের প্রকৃত দর্শক সংখ্যা লুকিয়েছিলেন । ইলাহাবাদ হাই কোর্টে সেই মর্মে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। হাথরসের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে।
এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ভক্তদের মাত্রাছাড়া ভিড়ের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, আয়োজকরা ৮০ হাজার মানুষের জমায়েতের অনুমতি চাইলেও সেখানে জড়ো হন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। এও অভিযোগ রয়েছে যে , দুর্ঘটনার সময় আয়োজকরা যে শুধু সাহায্যের হাত বাড়াননি তাই-ই নয়, বরং তাঁরা প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানস্থলে ‘ভোলেবাবা’র জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকলেও ভক্তদের জন্য কোনও ব্যবস্থাই ছিল না। ছিল না কোনও চিকিৎসক দল বা পাখার ব্যবস্থা।খাবার বা জলেরও কোন ব্যবস্থা ছিল না।অন্যদিকে ‘ভোলেবাবা’-র জন্য সবরকম ব্যবস্থার আয়োজন করা হয় । ঘটনার আগেই তিনি ওই ঘটনাস্থল ছেড়ে বেড়িয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নারায়ণ সাকার ওরফে ‘ভোলে বাবা’ নামে স্বঘোষিত এক ধর্মীয় গুরুর জন্য ‘মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাবনা অনুষ্ঠান কমিটি’র তরফে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ওই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল মঙ্গলবার। অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। ভক্তদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। হুড়োহুড়ি করে বেরোনোর সময় ঘটে বিপত্তি। এই ঘটনায় সৎসঙ্গের আয়োজক কমিটির দিকে আঙুল উঠেছে।