• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বিকাশের অস্বাভাবিক পতন রুখতে ‘আর্থিক জরুরি অবস্থা’ জারির দাবি কংগ্রেসের

দেশের অর্থনীতি 'ধ্বংস'র জন্য দায়ী কে? তা সরকারকেই স্পষ্ট করতে হবে বলে দাবি করল কংগ্রেস।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রা (File Photo: IANS)

দেশের অর্থনীতি ‘ধ্বংস’র জন্য দায়ী কে? তা সরকারকেই স্পষ্ট করতে হবে বলে দাবি করল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রা জিডিপির ছয় বছরের রেকর্ড পতনে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশের অর্থনীতিকে ‘ধ্বংসের’ মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকেই দায়ী করেছেন।

এক টুইটে কংগ্রেস নেতা বলেছেন, বিজেপি সরকারের ‘আচ্ছে দিন’এর ঢক্কানিনাদ আজ ফাঁকা বুলিতে পরিণত হয়েছে। দেশের অর্থনীতির মজবুত চাকাই তারা ফুটো করে ছেড়েছে। এর ফলে একদিকে জিডিপি নিম্নগামী, টাকার ক্রমাগত মুল্য হ্রাস এবং অন্যদিকে বেকারি দ্রুতহারে বেড়ে চলেছে।

প্রিয়াঙ্কা হিন্দিতে তাঁর টুইটে জানান, সরকারিভাবে তথ্য প্রকাশ করে জানানাে হয়েছে বিগত ছয় বছরের মধ্যে চলতি আর্থিক বছরের এপ্রিল-জুন মাসে আর্থিক বিকাশের হার সবথেকে কম। অর্থাৎ পাঁচ শতাংশে এসে ঠেকেছে।

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, হিন্দি কাহিনিচিত্র ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’এর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে দেশের আর্থিক বিকাশের হার প্রতি তিন মাস থেকে ‘প্রতি তিন মাসে’ পতনের শতাংশ হারের মাধ্যমে। প্রকৃতপক্ষে আর্থিক বিকাশের হার তিন শতাংশ। সরকার পতনের হার ঘােষণার ক্ষেত্রে ভিত্তি বর্ষ ২০০৪-২০০৫’এর পরিবর্তে ২০১১-২০১২ থেকে হিসেব দেখিয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার আইটি, সিবিআই, ইডি সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে দেশের আর্থিক উন্নয়নের পরিবেশটাকেই ধ্বংস করেছে বলে রমেশ অভিযােগ করেছেন।

কংগ্রেস নেতা রণদীপ সূর্যেওয়ালা টুইটে জানিয়েছেন, বিজেপি শাসিত দেশের অর্থিক বিকাশ বিরাট প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে। ২০১৮ সালে জানুয়ারি-মার্চ মাসে বিকাশের হার ছিল ৮.১ শতাংশ থেকে নেমে গিয়ে এপ্রিল-জুন ২০১৯ সময়ে ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষে এই আর্থিক বিপর্যয়কে ‘মােদি’র তৈরি’ বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়েছে। অবিলম্বে দেশে আর্থিক জরুরি অবস্থা জারির দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।