• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নদীর পাড়ে খেলতে গিয়ে জলে তলিয়ে গেল দুই ভাই

অর্ণব সাহা, জলপাইগুড়ি: নদীর পাড়ে খেলতে গিয়ে তলিয়ে গেল দুই ভাই। প্রথমে পা পিছলে নদীতে পড়ে যায় ছোট ভাই। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে জলে তলিয়ে যায় বড় ভাইও। সোমবার বিকেলে জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ির শালবাড়ি সংলগ্ন যমুনা নদীতে ঘটনাটি ঘটেছে। বর্ষার জলে এই মুহূর্তে ফুলে ফেঁপে রয়েছে যমুনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গতকাল স্কুল ছুটির পর নদীর পাড়ে খেলছিল তিন

অর্ণব সাহা, জলপাইগুড়ি: নদীর পাড়ে খেলতে গিয়ে তলিয়ে গেল দুই ভাই। প্রথমে পা পিছলে নদীতে পড়ে যায় ছোট ভাই। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে জলে তলিয়ে যায় বড় ভাইও। সোমবার বিকেলে জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ির শালবাড়ি সংলগ্ন যমুনা নদীতে ঘটনাটি ঘটেছে। বর্ষার জলে এই মুহূর্তে ফুলে ফেঁপে রয়েছে যমুনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গতকাল স্কুল ছুটির পর নদীর পাড়ে খেলছিল তিন খুদে স্কুল পড়ুয়া। একজন খেলা শেষে বাড়ি ফিরে গেলেও নদীর পাড়ে থেকে যায় দুই ভাই শুভজিৎ ও ঋত্বিক বিশ্বাস। স্থানীয় স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শুভজিৎ এবং ঋত্বিক তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সেইসময় খেলতে খেলতে পা পিছলে নদীতে পড়ে যায় ছোট ভাই ঋত্বিক। ভাইকে ডুবতে দেখে তাকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়ে বড় ভাই শুভজিৎ। দুজনেই তলিয়ে যায় যমুনার জলে। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ, দমকল ও এনডিআরএফ কর্মীরা। রাতভর তল্লাশি চলে। যদিও এখনও পর্যন্ত দুই কিশোরের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিঁখোজ দুই ভাইয়ের বাড়ি বেরুবাড়ি বাজার সংলগ্ন শালবাগান তোফাপাড়া গ্রামে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে স্কুল থেকে আসার পর খেলার নাম করে দুই ভাই সাইকেল নিয়ে বের হয়। সন্ধে হয়ে গেলেও তাঁরা বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোক খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারেন তারা বেরুবাড়ি বাজার সংলগ্ন যমুনা নদীর দিকে গিয়েছে। তারপর সেখানে গিয়ে ভরা নদীর পাড়ে তাদের জামা প্যান্ট ও সাইকেল পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকেরা। খবর যায় মানিকগঞ্জ আউটপোস্টের পুলিশের কাছে। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবার সহ স্থানীয়দের অনুমান স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছে দুই ভাই।

এদিন সকালে দুই ভাইয়ের খোঁজে এলাকায় পৌঁছোয় গোরুবাথান থেকে আগত এনডিআরএফের ৩০ সদস্যের একটি দল। তারা স্পিড বোট নিয়ে দুই ভাইয়ের খোঁজে ঘটনাস্থল সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।