• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ইরানের প্রেসিডেন্ট পদে কে ?  জোর টক্কর মাসুদ পেজেস্কিয়ান ও সাইদ জালিলির মধ্যে

তেহরান, ১ জুলাই – সম্প্রতি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তাঁর মৃত্যুর পর ইসলামিক দেশটির প্রেসিডেন্টের আসনে কে বসবেন তা এক বড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়েছিল। এই মুহূর্তে কুর্সির লড়াইয়ে জোর টক্কর চলছে সংস্কারপন্থী নেতা মাসুদ পেজেস্কিয়ান ও চরমপন্থী নেতা সাইদ জালিলির মধ্যে।  ভারতেরও নজর রয়েছে  ইরানের এই নির্বাচনের দিকে  । ২০২১ সালে

তেহরান, ১ জুলাই – সম্প্রতি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তাঁর মৃত্যুর পর ইসলামিক দেশটির প্রেসিডেন্টের আসনে কে বসবেন তা এক বড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়েছিল। এই মুহূর্তে কুর্সির লড়াইয়ে জোর টক্কর চলছে সংস্কারপন্থী নেতা মাসুদ পেজেস্কিয়ান ও চরমপন্থী নেতা সাইদ জালিলির মধ্যে।  ভারতেরও নজর রয়েছে  ইরানের এই নির্বাচনের দিকে  ।

২০২১ সালে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্টের আসনে বসেন ইব্রাহিম রাইসি। ভোটযুদ্ধে তাঁর সামনে টিকতে পারেননি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। সেই বছরই ইরানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন মহম্মদ মুখবার। তিনি খামেনেইর খুব কাছের লোক বলেই পরিচিত। রাইসির সঙ্গেও মুখবারের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। রাইসির মৃত্যুর পর পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে উঠে আসে মুখবারের নাম। কিন্তু এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্টের দৌড়ে তিনি নেই। প্রসঙ্গত, নরমপন্থী হিসাবেই ইরানে পরিচিত পেজেস্কিয়ান। অন্যদিকে, জালিলি দক্ষিণপন্থী মনোভাব পোষণের জন্যই পরিচিত ইরানিদের মধ্যে।  

 
গত ২৮ জুন, শক্রবার, প্রেসিডেন্ট পদের জন্য একদফা ভোটপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ইরানে। কিন্তু তার ফল হয়  ত্রিশঙ্কু। ইরানের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী জয়লাভ করার জন্য প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের কারও ঝুলিতেই সেই সংখ্যক ভোট পড়েনি। এদিন প্রথম দফার নির্বাচন শেষে দেখা যায় পেজেস্কিয়ান ৪২. ৫ শতাংশ ও জালিলি ৩৮. ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তৃতীয় হয়ে প্রেসিডেন্ট পদের দৌড় থেকে ছিটকে যান ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মহম্মদ বাঘের ঘালিবাফ। অর্থাৎ ৫০ শতাংশের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেননি কেউই। ফলে আগামী ৫ জুলাই ফের একদফা নির্বাচন হবে ইসলামিক দেশটিতে। ৫০ শতাংশের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে কে ইরানের প্রেসিডেন্ট হবেন সেদিকেই নজর আন্তর্জাতিক মহলের।
 
এদিকে, ইরানের এই নির্বাচনে কড়া নজর রয়েছে ভারতের। কারণ কূটনৈতিক মহলের ধারণা, চরমপন্থী নেতা সাইদ জালিলি যদি প্রেসিডেন্ট হন তাহলে তিনি ভারতের কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলতে পারেন। পাশাপাশি ভারতে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলতে পারেন তিনি। ফলে  নয়াদিল্লি ও তেহরানের যে কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন মোড় আসতে পারে।