পুনে, ১ জুলাই– ফের জিতা আতঙ্ক৷ এবার পুনেতে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার এক গর্ভবতী মহিলা৷ গত ১০ দিনে ৫ জন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে পুণের ইরান্ডওয়ান এলাকায়৷ মশাবাহিত এই রোগের সেভাবে কোনও চিকিৎসা না থাকায় চিন্তায় স্বাস্থ্যকর্তারা৷
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ইরান্ডওয়ানে এলাকায় দু’জনের শরীরে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল৷ এর পরই ওই এলাকায় তৎপর হয়ে ওঠেন স্বাস্থ্য কর্তারা৷ জিকার প্রাথমিক লক্ষণ চোখে পড়ায় ৩ গর্ভবতী মহিলার রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে৷ সেখান থেকেই খবর আগে গর্ভবতী ৩ মহিলার মধ্যে একজন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত৷ ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ গোটা এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ৷
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছড়ায় জিকা ভাইরস৷ সাধারণত কোনও গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করে না, তবে কোনও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক৷ গর্ভবতী মহিলা এই ভাইরাসে সংক্রামিত হলে ভ্রূণের মাইক্রোসেফালি অর্থাৎ শিশুর মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হতে পারে৷ অসম্পূর্ণ মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাতে পারে শিশু৷ এছাড়াও আরও নানান সমস্যা হতে পারে গর্ভস্থ শিশুর৷ চিকিৎসকদের দাবি, জিকা একটি মশাবাহিত রোগ৷ সাধারণত এডিস মশা থেকে ছড়ায় এই ভাইরাস৷ যার সংক্রমণ যৌনসম্পর্কের মাধ্যমেও ছডি়য়ে পড়তে পারে৷ এই ভাইরাসের অন্যতম উপসর্গ জ্বর৷ ৮০ শতাংশের বেশি জিকা ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের ক্ষেত্রে প্রথম উপসর্গই জ্বর৷ এছাড়াও শরীরে র্যাশ দেখতে পাওয়া যায়৷ কারও কারও আবার শ্বাসকষ্টও হয়৷ সেভাবে কোনও চিকিৎসা নেই এই রোগের৷ লক্ষ্মণ অনুযায়ী প্যারাসিটামলের মতো ওষুধে এর চিকিৎসা চলে৷