• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

রাজ্যের গণপিটুনি প্রতিরােধ বিল আরও কড়া সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল গণপিটুনি প্রতিরােধ বিল 'প্রিভেনশান অফ লিঞ্চিং বিল, ২০১৯' পরিস্থিতির সাপেক্ষে গণপিটুনি বিল আরও কড়া করা হল। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল গণপিটুনি প্রতিরােধ বিল ‘প্রিভেনশান অফ লিঞ্চিং বিল, ২০১৯’ পরিস্থিতির সাপেক্ষে গণপিটুনি বিল আরও কড়া করা হল। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

শুক্রবার এই বিলের ওপর বক্তব্য রাখতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন গণপিটুনি প্রতিরােধে এই বিল একটি আইনি রক্ষাকবচ। দেশের মধ্যে এই রাজ্যেই প্রথম এই বিল হল। যখনই দেশ একটা অস্থির অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলা রুখে দাঁড়িয়েছে। একটা বড় ভূমিকা নিয়েছে। এর আগে রাজস্থান এই বিল পাশ করাতে গিয়েছিল, কিন্তু পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকায় তা পাশ করাতে পারেনি।

মমতা বলেন, আমি মনে করি না দেশের কোনও মানুষ গণপিটুনিকে সমর্থন করে। আমার হাতে লাঠি আছে মানেই, আমি লাঠি পেটা করব, এটা হতে পারে না। কখনও ছেলেধরা, কখনও ধর্মীয় উস্কানি নিয়ে গণপিটুনি এমন মাত্রায় ঘটে চলেছে, যে লিঞ্চিং নিয়ে লিখতে একটা অভিধান হয়ে যাবে।

পুলওয়ামার ঘটনার আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী লিঞ্চিং নিয়ে সরব হয়ে আসছেন। রাজস্থানে গত কয়েক বছরে একাধিক গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। সেই সময় রাজস্থানে শাসক সরকার ছিল বিজেপি। গত বছর জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট একটা নির্দেশনামা জারি করে। সেখানে প্রত্যেক রাজ্যকেই গণপিটুনি রুখতে আইন আনতে বলে। তহশিল এস পুনাওয়ালা বনাম ভারত এবং অন্যান্য মামলার রায়দানের সূত্রেই এই ধরনের আইনের সুপারিশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়কে কার্যকর করতেই এই বিল বিধানসভায় আনার প্রস্তুতি নেয় রাজ্য সরকার।

এই সপ্তাহের গােড়াতেই গণপিটুনি প্রতিরােধ বিল, ২০১৯ পেশ করেছিল সরকার। ওই বিলে বলা হয়েছিল, গণপিটুনিতে কারও মৃত্যু হলে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি হবে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। এদিন সেই বিলে আরও কড়া শাস্তির বিধান দেওয়া হয়। বলা হয়, লিঞ্চিং–এর ফলে কারও মৃত্যু হলে সেখানে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া হবে।

বিলে গণপিটুনির শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের কথাও বলা হয়েছে। মুখমন্ত্রী এদিন বলেন, বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার আগে একটি স্কিমও তৈরি করা হবে। সেক্ষেত্রে গণপিটুনিতে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে চাকরি দেওয়ার কথাও বলা থাকবে।

কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পরেই যে গণপিটুনির সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে, সে বিষয়ে একমত হন কংগ্রেস এবং তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বিজেপির নাম না করলেও তাঁর অভিযােগের তির ছিল হিন্দুত্ববাদী বিজেপির দিকে। তবে এদিন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকার বলেন, এই বিলে তাদের ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। কারণ, তাদের দল কোনও গণপিটুনির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। উল্টে তাদের দলের ওপরেই গণপ্রহারের ঘটনা ঘটে চলেছে।