• facebook
  • twitter
Tuesday, 1 October, 2024

ভারতের নতুন সেনা প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন জেনারেল উপেন্দ্র ত্রিবেদী

দিল্লি, ৩০ জুন: ভারতের নতুন সেনা প্রধান হলেন জেনারেল উপেন্দ্র ত্রিবেদী। রবিবার অত্যন্ত সজ্জিত এই পদাতিক অফিসার ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৩০তম প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন। তিনি একসময় জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলসের অন্তর্গত ছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি সেনাবাহিনীর সহকারী প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। সেনা হিসেবে তাঁর অবদানের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮১ সালের জানুয়ারিতে ন্যাশনাল ডিফেন্স

দিল্লি, ৩০ জুন: ভারতের নতুন সেনা প্রধান হলেন জেনারেল উপেন্দ্র ত্রিবেদী। রবিবার অত্যন্ত সজ্জিত এই পদাতিক অফিসার ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৩০তম প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন। তিনি একসময় জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলসের অন্তর্গত ছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি সেনাবাহিনীর সহকারী প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। সেনা হিসেবে তাঁর অবদানের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮১ সালের জানুয়ারিতে ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমিতে (এনডিএ)। এরপর ১৫ ডিসেম্বর ১৯৮৪ সালে তিনি জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলসের ১৮তম ব্যাটালিয়নের কমিশনে যোগদান করেন। পরে তিনি কাশ্মীর উপত্যকা এবং রাজস্থান উভয় স্থানে এই ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দেন।

তিনি প্রথমদিকের বছরগুলি খেলাধুলায় কৃতিত্ত্বের জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন। তিনি এনডিএ এবং আইএমএ উভয় ক্ষেত্রেই প্রশংসিত হয়েছিলেন। তিনি শারীরিক প্রশিক্ষণে ব্লু এবং পরে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। জেনারেল দ্বিবেদী তাঁর সম্পূর্ণ কর্মজীবনে দেশের উত্তর, পশ্চিম এবং পূর্ব অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত অপারেশনাল অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। মরুভূমি, উচ্চ অঞ্চল, নদী অঞ্চল, শহুরে অঞ্চল, উত্তর পূর্ব এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মতো বিভিন্ন ভূখণ্ডে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি কাশ্মীর উপত্যকা এবং রাজস্থান মরুভূমিতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে তাঁর ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দেন।

একজন মেজর জেনারেল হিসেবে, তিনি আসাম রাইফেলসের ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং ব্রিগেডিয়ার পর্যায়ে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মেয়াদকালে, তিনি তীব্র সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দেন এবং উত্তর পূর্বে বিভিন্ন স্টাফ এবং কমান্ডের ভূমিকা পালন করেন। তিনি ভারত-মায়ানমার সীমান্ত ব্যবস্থাপনার প্রথম বিস্তারিত নির্দেশিকা তৈরি করেন। পরবর্তীতে, তিনি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট এবং নর্দার্ন আর্মি বরাবর রাইজিং স্টার কর্পস কমান্ড-এর দায়িত্ব পালন করেন। উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে টেকসই অপারেশনের জন্য কৌশলগত এবং অপারেশনাল তদারকি করেন এবং সেই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে জেনারেল দ্বিবেদী বিয়ে করেন সুনিতা দ্বিবেদীকে। বিজ্ঞান স্নাতক মিসেস দ্বিবেদী একজন গৃহিনী এবং সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত। তিনি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য ভোপাল ইনস্টিটিউটের যুক্ত আছেন। দ্বিবেদী দম্পতির দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।