• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বেআইনি বিয়ে মামলায় রেহাই নেই ইমরানের, বহাল কারাবাসের সাজা

ইসলামাবাদ, ২৮ জুন– পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনীতি থেকে বিয়ে সবই যেন কাঠগড়ায়৷ বেআইনি বিয়ে মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের সাজা শুনিয়েছিল আদালত৷ সেই সাজা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা৷ কিন্ত্ত সেই আবেদনও খারিজ করে দিল পাকিস্তানের এক নিম্ন আদালত৷ উল্লেখ্য, তোষাখানা মামলায় ২০২৩ সালের ৫

ইসলামাবাদ, ২৮ জুন– পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনীতি থেকে বিয়ে সবই যেন কাঠগড়ায়৷ বেআইনি বিয়ে মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের সাজা শুনিয়েছিল আদালত৷ সেই সাজা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা৷ কিন্ত্ত সেই আবেদনও খারিজ করে দিল পাকিস্তানের এক নিম্ন আদালত৷
উল্লেখ্য, তোষাখানা মামলায় ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট গ্রেপ্তার হন ইমরান৷ হাজতবাসের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ১ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়৷ এমনকী জানিয়ে দেওয়া হয়, পাঁচ বছর কোনও নির্বাচনেও লড়তে পারবেন না তিনি৷
২০১৮ সালে বিয়ে হয়েছিল ইমরান-বুশরার৷ তখনও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নন ইমরান৷ এই বিয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন বুশরার প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার ফরিদ মানেকা৷ তাঁর দাবি ছিল, যেহেতু তাঁদের বিয়ের বিচ্ছেদের পরে তিন মাস কাটার আগেই ইমরান বুশরাকে বিয়ে করেছেন তাই এই বিয়ে ইসলামের বিধান অনুযায়ী অবৈধ৷ কেননা ইসলাম ধর্মের নিয়ম হল বিবাহ বিচ্ছেদ বা স্বামীর মৃতু্যর পরে তিন মাস না কাটলে সেই মহিলা বিয়ে করতে পারেন না৷ এই সময়কালকে বলে ‘ইদ্দত’৷ তবে কেবল ওই অভিযোগই নয়, একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেন বুশরার প্রাক্তন স্ত্রী৷ তাঁর অভিযোগ, আইনি বিয়েই হয়নি ইমরান-বুশরার৷ কেবল লোক দেখানো বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল৷ পাশাপাশি ব্যাভিচারের অভিযোগও আনেন তিনি৷
ইমরান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এই মামলার শুনানি শুরু না হলেও তিনি ক্ষমতা হারানোর পরই নতুন করে শুরু হয় মামলা৷ আর সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হন ইমরান ও বুশরা বিবি৷ তাঁদের সাত বছরের সাজা শোনানো হয় গত ফেব্রুয়ারিতে৷ এই রায়কে বাতিল করার আর্জি জানিয়েই আবেদন করেছিলেন ইমরান৷ কিন্ত্ত খারিজ হয়ে গেল তা৷