• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

ইসিএল-এর প্রাক্তন জিএম ও দুই কয়লা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার

কয়লা পাচার মামলায় আরও তৎপর সিবিআই সীতারাম মুখোপাধ্যায়, আসানসোল: কয়লা পাচার মামলায় কোমর বেঁধে নেমেছে সিবিআই । বলতে গেলে লোকসভা নির্বাচন মিটতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি। সিবিআই এবার কয়লা পাচার মামলায় ইসিএল-এর প্রাক্তন জিএম বা জেনারেল ম্যানেজার এবং দুই কয়লা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল৷ ইসিএল-এর কুনস্তোরিয়া এরিয়া প্রাক্তন জিএম অমিত কুমার ধরকে নিজাম প্যালেসে

কয়লা পাচার মামলায় আরও তৎপর সিবিআই

সীতারাম মুখোপাধ্যায়, আসানসোল: কয়লা পাচার মামলায় কোমর বেঁধে নেমেছে সিবিআই । বলতে গেলে লোকসভা নির্বাচন মিটতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি। সিবিআই এবার কয়লা পাচার মামলায় ইসিএল-এর প্রাক্তন জিএম বা জেনারেল ম্যানেজার এবং দুই কয়লা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল৷ ইসিএল-এর কুনস্তোরিয়া এরিয়া প্রাক্তন জিএম অমিত কুমার ধরকে নিজাম প্যালেসে মঙ্গলবার ডেকে পাঠায়। সেখানে তাঁকে কয়েক ঘন্টা ধরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার দুই কয়লা ব্যবসায়ী বাপি ঠাকুর ও বিদ্যাসাগর দাসকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাদেরকে একইভাবে নিজাম প্যালেসে সমন করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বাপি ঠাকুর আসানসোলের জামুড়িয়ার কেন্দা এলাকার এবং বিদ্যাসাগর দাস রানিগঞ্জের বাসিন্দা। তাঁদের বিরুদ্ধে অবৈধ কয়লা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনজনকেই বুধবার সকালে কলকাতা থেকে এনে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২০ জুন এই মামলায় ইসিএল-এর জিএম নরেশ কুমার সাহা ও কয়লা ব্যবসায়ী অশ্বিনী কুমার যাদবকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাদের চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সোমবার তাঁদেরকে আদালতে হাজির করানো হয়। সেদিন সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তাঁদের জামিনের আবেদন নাকচ করে ১০ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩ জুলাই।

প্রসঙ্গত, গত ২১ মে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে কয়লা চোরাচালান মামলায় চার্জ গঠন করার দিন ছিল। কিন্তু সেদিন ৩ আসামির অনুপস্থিতির কারণে এই মামলায় অভিযোগ গঠন করা যায়নি। শুনানি শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী আদেশ দেন, আগামী ৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ঐদিনই সিবিআই-কে চার্জ গঠন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে সিবিআই-এর চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের ওই দিন হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। উল্লেখ্য, এই মামলার চার্জশিটে ৪৩ জন আসামির নাম রয়েছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।