কাশ্মীর ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ রাহুল গান্ধির সম্পূর্ণ বিপরীত মন্তব্য নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে আকচা আকচি শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে রাহুল গান্ধি টুইট করে বলেছেন, ‘কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয় এবং সেখানে। পাকিস্তান বা অন্য কোনও দেশেরই অযথা নাক গলানাের কোনও সুযােগ নেই’। রাহুল গান্ধির এই বক্তব্যকে নস্যাৎ করে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে জানানাে হয়েছে, বিগত দিনে উপত্যকায় পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি হানায় চল্লিশ সেনা জওয়ানের মৃত্যুর পর ভারতকে দায়ী করে রাহুল গান্ধি যে বক্তব্য রেখেছিলেন তার ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযােগ দায়ের করে।
বিজেপির মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর সাংবাদিকদের জানান, এতদিন কাশ্মীরে অশান্তির বিষয়ে এনডিএ সরকারকেই দায়ী করে কংগ্রেস দল এবং দলের নেতা রাহুল বক্তব্য রেখেছেন। এখন ভুল বুঝতে পেরে দেশের মানুষের কাছে দেশভক্ত হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতেই উল্টো সুরে কথা বলছেন। অথচ রাহুল গান্ধি ও কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্যকেই পাকিস্তান ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে।
কংগ্রেস এমন দায়িত্বহীন রাজনীতিই করে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাভড়েকর। তিনি বলেন, কাশ্মীরে কোনও অশান্তি নেই, যত অশান্তি কংগ্রেস দলের মধ্যেই। রাহুল গান্ধির এই মন্তব্যই প্রমাণ করে কংগ্রেস দলের সত্তর বছরের দেশ শাসনের দেউলিয়াপনা ইতিহাস। ভারতের ইতিহাসে কোনও একটি জাতীয় দলের নেতার বক্তব্যকে এমনভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার কোনও নজির নেই।
পাকিস্তান সুযােগ বুঝে কংগ্রেস নেতা ও দলের মন্তব্যকে ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে ব্যবহার করেছে। কারণ চলতি মাসের প্রথম দিকে রাহুল গান্ধি কাশ্মীরে ৩৭০ ও ৩৫ (এ) ধারা বিলােপের পরবর্তী সময়ে উপত্যকায় নানা দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং সেখানকার মানুষ এর বিরুদ্ধে সােচ্চার এমন রিপাের্ট বেরােচ্ছে বলে অভিযােগ করে কাশ্মীরের প্রকৃত অবস্থা প্রকাশের দাবি করে কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি চেয়েছিলেন।
বিরােধীদের একটি প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে রাহুল গান্ধিও সম্প্রতি কাশ্মীরের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য শ্রীনগর বিমানবন্দরে নামেন। কিন্তু বিরােধীদলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাহুল গান্ধিকেও উপত্যকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি রাজ্য প্রশাসন। তাঁদের সকলকেই বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সাংবাদিকদের রাহুল গান্ধি জানান, প্রশাসনের পক্ষে দাবি করা হচ্ছে উপত্যকায় সবই স্বাভাবিক রয়েছে অথচ বিরােধী দলের নেতাদের আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।