দিল্লি, ২৫ জুন– নিট যেন ক্রমাগত অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্র সরকারের৷ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে এ বিষয়ে ঘিরতে শুরু করেছে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া৷ ঘটনার সূত্র গিয়ে পেঁৗছেছে মাফিয়া বিজেন্দর পর্যন্ত৷ সঙ্গে উঠেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন৷ এই অবস্থায় এনটিএ ডিজি সুবোধ কুমার সিং-কে আগেই সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র৷ তাতে মোটেও দমতে সন্তুষ্ট নয় বিরোধীরা৷ ডিজিকে সরালেও চেয়ারম্যান প্রদীপকুমার যোশীকে কেন এখনও তাঁর পদে বহাল রাখা হয়েছে সেই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস৷
এনটিএ চেয়ারম্যান পদে আসার আগে ইউপিএসসি চেয়ারম্যান পদে ছিলেন প্রদীপকুমার যোশী৷ মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগডে় বিজেপি সরকারের সময়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন৷ কংগ্রেসের অভিযোগ, এই ব্যক্তি আদতে আরএসএস ঘনিষ্ঠ৷ এত বড় পদে থাকার কোনও যোগ্যতাই নেই তাঁর৷ কিন্ত্ত আরএসএস যোগ থাকার জন্যই প্রদীপের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার৷
ইতিমধ্যে যে ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর ‘অতিরিক্ত নম্বর’ পাওয়ার কারণে নিট পরীক্ষা বাতিল করেছিল শীর্ষ আদালত, তাদের ফের পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল৷ তবে ১৫৬৩ জনের মধ্যে কেবল ৮১৩ জন পরীক্ষায় বসেন৷
এনটিএ-এর ডিজিকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার প্রদীপ সিং খারোলাকে৷ হাত শিবিরের দাবি, গদি বাঁচাতেই সুবোধ কুমারকে সরাতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র৷ কিন্ত্ত স্রেফ আরএসএস-এর নাম প্রদীপ কুমার যোশীর সঙ্গে জুডে় থাকার কারণে সরকারের কোনও তাপ-উত্তাপ নেই৷
কংগ্রেসের দাবি, নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় প্রদীপ যোশীর বড় ভূমিকা থাকতে পারে৷ তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে৷ কিন্ত্ত তা তো করা হচ্ছেই না, উল্টে প্রদীপ দেশজুডে় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ উপাচার্যদের নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ নিয়েই যাচ্ছেন৷
নিট নিয়ে এত বিতর্ক সত্ত্বেও পরীক্ষা কেন বাতিল করা হয়নি সেই ব্যাপারে ইতিমধ্যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান৷ তাঁর বক্তব্য, ২০০৪ এবং ২০১৫ সালের ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার মতো ২০২৪ সালে নেটের প্রশ্নফাঁসের ঘটনার প্রভাব নয়৷ তাই পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি৷