দিল্লি, ২৫ জুন – দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার ৫০ বছরে ফের কংগ্রেসকে বিদ্ধ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার জরুরি অবস্থার ৫০তম বর্ষপূর্তি। অষ্টাদশ লোকসভার দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডলে একাধিক টুইট করে জরুরি অবস্থার ‘কালো দিনের’ কথা মনে করিয়ে দেন মোদি। একই সঙ্গে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে লেখেন, “যারা জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, তাদের সংবিধানের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করে কোনও অধিকার তাদের নেই। এরা একাধিকবার দেশে ৩৫৬ ধারা জারি করেছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য বিল এনেছে, সংবিধানের প্রতিটি দিক লঙ্ঘন করেছে।”
সোমবার অধিবেশনের প্রথম দিনই সংসদ চত্বরে হাতে সংবিধান নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদেরা। মোদি যখন সংসদের ভিতর শপথবাক্য পাঠ করতে ওঠেন, তখন বেঞ্চে বসে মোদির উদ্দেশে সংবিধান দেখান রাহুল গান্ধি । পরে সংসদ থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মোদি এবং বিজেপি সংবিধানকেই শেষ করতে চান। আমাদের সেই সংবিধানকে রক্ষা করার লড়াই করতে হচ্ছে।’’ মঙ্গলবার সেই সংবিধান অস্ত্রেই কংগ্রেসের উদ্দেশে পাল্টা তোপ দাগেন মোদি ।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির আমলে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সাময়িক ভাবে সমস্ত নাগরিক অধিকার তুলে নেওয়া হয়। বিরোধী নেতাদের জেলবন্দি করা হয়। সংবাদমাধ্যমের উপরেও নজরদারির খাঁড়া নেমে আসে। এই পরিস্থিতি চলে টানা ২১ মাস, ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত। ১৯৭৭ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইন্দিরার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়। মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মোদির দাবি , ক্ষমতায় টিকে থাকতে কংগ্রেস সরকার সেই সময় সমস্ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে অস্বীকার করেছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের মধ্যে বাদানুবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের নিম্নকক্ষ।