• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সহমতের ভিত্তিতে সবাইকে নিয়ে চলার অঙ্গীকার মোদির 

দিল্লি, ২৪ জুন – সরকারের নীতি ও আদর্শের প্রতি ভরসা রেখেছেন দেশবাসী। তাই তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়ে  দায়িত্ব আরও বেড়েছে। সোমবার অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানালেন, সকলের মতামত নিয়ে সরকার পরিচালনা করা হবে।  প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘শ্রেষ্ঠ ভারত ও বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্য নিয়ে লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হচ্ছে।   অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম

দিল্লি, ২৪ জুন – সরকারের নীতি ও আদর্শের প্রতি ভরসা রেখেছেন দেশবাসী। তাই তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়ে  দায়িত্ব আরও বেড়েছে। সোমবার অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানালেন, সকলের মতামত নিয়ে সরকার পরিচালনা করা হবে।  প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘শ্রেষ্ঠ ভারত ও বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্য নিয়ে লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হচ্ছে।  

অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন বসে সকাল ১১টায়। তার আগে দিল্লি থেকে ভাষণ দেন মোদি। সোমবার  সংসদের বাইরেই ১৪ মিনিট ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী, যা নজিরবিহীন।তিনি জানান, নতুন বিশ্বাস ও নতুন উদ্যমে অধিবেশনের কাজ শুরু হবে। সহমতের ভিত্তিতে কাজ করবে তাঁর সরকার। তিনি বলেন, ‘ দেশবাসী আমাদের তৃতীয়বার সুযোগ দিয়েছে সরকারের নীতি ও উদ্দেশ্যের উপর কার্যত সিলমোহর দিয়েছেন তাঁরা।’
 
মোদি বলেন, ‘গত দশ বছরে একটা পরম্পরা তৈরি করেছি। সরকার চালানোর জন্য বহুমত তথা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। কিন্তু দেশ চালানোর জন্য সহমতের প্রয়োজন। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই। সংবিধানের নিয়ম মেনেই চলতে চাই। দেশের মানুষ আমাদের আবার দায়িত্ব দিয়েছে। এই জয় খুবই মহতী জয়। তৃতীয় মেয়াদে আমরা আগের তুলনায় তিন গুণ পরিশ্রম করব, যার পরিণামও হবে তিন গুণ।
 

সংসদে বিরোধীদের ভূমিকা নিয়েও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।তিনি বলেন, মানুষ সংসদে নাটক চায় না, স্লোগান চায় না। দেশ দায়িত্বশীল বিরোধীদের  দেখতে চায়। মোদির কথায়, ‘‘ যাঁরা ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে এসেছেন, তাঁদের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে৷’’

এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে লাগু হওয়া ২১ মাসের জরুরি অবস্থার কথাও। তৎকালীন সরকারের নাম না করেই কটাক্ষ করেন তিনি।তিনি বলেন, ‘ ২৫ জুন দেশের গণতন্ত্রে কালো দাগ লেগেছিল। কাল তার ৫০ বছর পূর্ণ হবে।  সেইসময় সংবিধান বাতিল করা হয়েছিল। ওই দিন ভারতের সংবিধানকে অমান্য করে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। দেশকে জেল খানা বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। 

লোকসভায় সোমবার সাংসদ হিসাবে শপথগ্রহণ করেছেন মোদি। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যেরাও প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহতাবের তত্বাবধানে একে একে শপথ নেন। লোকসভায় সাংসদদের শপথগ্রহণ চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। ২ বা ৩ জুলাই লোকসভার বিতর্কে অংশ নিতে পারেন মোদি । মোদির ভাষণের পর জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। প্রোটেম স্পিকার মোদিকে লোকসভার নেতা ঘোষণা করেন। 

চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনেনিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি  বিজেপি । তাদের নেতৃত্বাধীন জোট ২৯২টি আসন পেলেও বিজেপি একক ভাবে পেয়েছে মাত্র ২৪০টি আসন। এ ছাড়া, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩৩টি আসন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় বিজেপিকে সরকার গড়তে হয়েছে শরিক দলগুলির সাহায্যে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নতুন সরকারে কিছুটা ‘নরমপন্থী’ হতে বাধ্য হয়েছে গেরুয়া শিবির।  সেই নমনীয়তার আভাস পাওয়া যায় প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা শুরুর আগের ভাষণেও। জোট সরকারকে পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে বলে স্পষ্টই বার্তা দিলেন তিনি।