• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কাদের জন্য মিথ্যাবাদী হয়ে যাচ্ছেন? জানালেন মেয়র নিজেই

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শনিবার অফিসারদের উদ্দেশ্যে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মেয়রের দাবি, ‘অফিসাররা ঠিকমতো কাজ করছেন না। তাদের জন্য তিনি মিথ্যেবাদী হয়ে যাচ্ছেন’। কেন এমন ক্ষোভ মেয়রের? সেই টিউবওয়েল আবার মাঝে মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জলের পাইপে আয়রণের জন্য। করোনার কারণে কাজ আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মেয়র। এখন ২০২৪ সাল। এখনও জলের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শনিবার অফিসারদের উদ্দেশ্যে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মেয়রের দাবি, ‘অফিসাররা ঠিকমতো কাজ করছেন না। তাদের জন্য তিনি মিথ্যেবাদী হয়ে যাচ্ছেন’। কেন এমন ক্ষোভ মেয়রের? সেই টিউবওয়েল আবার মাঝে মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জলের পাইপে আয়রণের জন্য। করোনার কারণে কাজ আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মেয়র। এখন ২০২৪ সাল। এখনও জলের ব্যবস্থা হয়নি। সেই কারণেই ফোন। সেই ফোনের উত্তরে জল বিভাগের আধিকারিক জানালেন, এখনও ২ বছর লাগবে। ওই কথা শুনেই মেয়রের ওই উক্তি। এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জলের সমস্যা নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, জলের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বেশকিছু লাইনে ডিপ টিউবওয়েলের জল যায়। সেখানেই সমস্যা।

এদিকে, পাল্টা প্রশ্ন মেয়রকে। ভোটের আগে কেন বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের উদ্বোধন হচ্ছে বিভিন্ন সংযুক্ত এলাকায়? ওই প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, আগামী ২৫ বছরের কথা মাথায় রেখে এই বুস্টার পাম্পিং স্টেশনগুলো করা হচ্ছে, যাতে যখন জল তৈরি হবে তখন এই এলাকায় জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুস্টার পাম্পিং স্টেশনগুলি কাজ করতে পারে। এদিকে, রুফটপ রেস্তঁরা ও বার নিয়েও সরব হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। বাড়তি মুনাফা লাভের জন্য বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বা ভাড়ায় দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ছাদ। সেই ছাদ কাজে লাগিয়ে কোথাও করা হচ্ছে বার, কোথাও রেস্তঁরা। শহরের কোথায় কী জবরদখল হয়েছে, তা দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তাতেই উঠে এসেছে ওই জবরদখলের কথা।

মেয়র জানিয়েছেন, আইনি নথি না থাকলে ওইসব রুফটপ ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে। ফুটপাত দখল নিয়ে বৃহস্পতিবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তার মুখোমুখি হতে হয়েছিল মেয়রকেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বক্তব্য, একশ্রেণির অফিসার ও নেতা টাকা নিয়ে লোক বসিয়ে দিচ্ছে। এর জন্য দায়ী পুরসভাও। ওই ঘটনার পরই সক্রিয় হয়ে ওঠেন মেয়র। মেয়র বলেন, বেশি মুনাফা লাভের জন্য শহরের বহু ছাদ বিক্রি বা ভাড়ায় ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনও অনুমতির তোয়াক্কা না করে এগুলো করা হচ্ছে। দফতরের আধিকারিকদের বলেছি, সার্ভে করে বেআইনি রুফটপের তালিকা তৈরি করতে। সব ভেঙে ফেলা হবে।