• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পদোন্নতি না পেয়ে ধুঁকছে রাজ্য পুলিশ, হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি নবান্নে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভোট মরশুমে অদলবদল ঘটেছে রাজ্য পুলিশে। বদলি হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্তা, বাদ যাননি ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ অফিসাররাও। অন্যদিকে বয়সজনিত কারণে চাকরি জীবনে অব্যাহতি টেনেছেন অনেকেই। ফলে ক্রমশ ফাঁকা হয়েছে আসন। সূত্রের খবর, ইন্সপেক্টর পদ ফাঁকা রয়েছে তিনশোটিরও বেশি। সাব-ইন্সপেক্টর(অস্ত্রধারী), সাব-ইন্সপেক্টর(এবি) পদ ফাঁকা রয়েছে ৫৫০টির বেশি। একই সঙ্গে সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভোট মরশুমে অদলবদল ঘটেছে রাজ্য পুলিশে। বদলি হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্তা, বাদ যাননি ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ অফিসাররাও। অন্যদিকে বয়সজনিত কারণে চাকরি জীবনে অব্যাহতি টেনেছেন অনেকেই। ফলে ক্রমশ ফাঁকা হয়েছে আসন। সূত্রের খবর, ইন্সপেক্টর পদ ফাঁকা রয়েছে তিনশোটিরও বেশি। সাব-ইন্সপেক্টর(অস্ত্রধারী), সাব-ইন্সপেক্টর(এবি) পদ ফাঁকা রয়েছে ৫৫০টির বেশি। একই সঙ্গে সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে ৮৫০টির বেশি। ৫০টিরও বেশি ফাঁকা রয়েছে ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট অফ পুলিশ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদও। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় দু’হাজার ছুঁই ছুঁই।

শুধু তাই নয়, এই সব আসনের শূন্যতা পূরণ তো দূর, বরং দীর্ঘদিন ধরে একই পদে বহাল রয়ে গিয়েছেন অনেক পুলিশ কর্মীই। যার ফলে ভাঁটার টান দেখা দিয়েছে পুলিশ অফিসারদের মনোবলে। তাই দীর্ঘদিন ধরে একই পদে থাকা পুলিশ অফিসারদের মনোবল বাড়িয়ে তুলতে এবং তাদের যোগ্যতা অনুসারে ন্যায্য পদ পাইয়ে দিতে চাইছে রাজ্য পুলিশ কল্যাণ সমিতি। সেই মর্মে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকেও। নবান্নে পাঠানো চিঠিতে পুলিশ অফিসারদের মনোবল বাড়িয়ে তোলার কথাও বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞমহলের মতে, শূন্যপদে যোগ্য অফিসার নিয়োগ করলে বিভাগীয় কাজে গতি আসবে। একই সঙ্গে পদোন্নতির ফলে অফিসারদের কাজের প্রতি ভালবাসা এবং আত্মবিশ্বাস দুই-ই বাড়বে বলে মত তাদের।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বদলেছে রাজ্য পুলিশের খোলনলচে। নতুন প্রযুক্তি দিয়ে ঢেলে সেজেছে সব কিছুই। বদল এসেছে আগ্নেয়াস্ত্রেও। কিন্তু এত কিছুর পরেও মাঝে মধ্যেই প্রকাশ্যে আসে পুলিশি উদাসীনতার ছবি। যার কারণ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে একই পদে বহাল থাকার কারণে মনোবলের ঘাটতিকেই দায়ী করছেন পুলিশ কর্মীদের একাংশ। তবে এই সমস্ত শূন্যপদ পূরণ হলে শুধু যে তাঁদের মনোবল এবং কাজের গতি ফিরবে তা নয়। পাশাপাশি তৈরি হবে আরও একাধিক শূন্যপদ। যার ফলে সুযোগ পাবে নবাগতরা। বৃদ্ধি পাবে কর্মসংস্থান।