ফিলিপিন্স সেনার তরফে ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয় যেখানে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ চিন সাগরে ফিলিপিন্সের সেনা যে বোটের উপর দাঁড়িয়ে, তার একেবারে পাশে চলে এসেছে চিনের সেনা। ফিলিপিন্সের বোটগুলিকে ঘিরে ধাক্কা মারতে শুরু করে সেই সেনাদল । তারপর নিজেদের বোট ছেড়ে লাফিয়ে ফিলিপিন্সের বোটে উঠে পড়ে। ছুরি, তরোয়ালের মতো অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দিতে শুরু করে। কথা-কাটাকাটি থেকে মারামারি শুরু হয়ে যায়।
দক্ষিণ চিন সাগরে এমন কিছু একটা যে ঘটতে পারে, তার আঁচ কিন্তু আগেই করছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ চিন সাগরে টহলদারির মাত্রা বাড়াচ্ছিল পিএলএ। তাইওয়ানের সংবাদসংস্থার দাবি, দক্ষিণ চিন সাগরে এই মুহূর্তে সাড়ে পাঁচ হাজার চিনা ভেসেল রয়েছে। ১৫ জুন জল্পনা উস্কে একটি বিবৃতি জারি করে চিন। সেখানে বলা হয়, দক্ষিণ চিন সাগরের ৯০ শতাংশ অংশ চিনের। চিনের জলসীমায় অন্য কারও দাবি বা অধিকার থাকতে পারে না। এনিয়ে চিন কোনও আলোচনাতেও যাবে না।
দক্ষিণ চিন সাগরের চারটি অংশ নিয়ে চিন বাদে ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান ছাড়াও লাওস, কম্বোডিয়াও এই জলসীমাকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। অথচ চিন নিজের বাদে চিন সাগরে আর কাউকে পা রাখতে দিতে নারাজ। ফিলিপিন্স সেনার মুখপাত্র বলেন, মারমুখী চিনা সেনার হামলায় কার্যত প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরতে হয় উপকূলরক্ষী বাহিনীকে। তিনি বলেছেন, “চিনারা বিপজ্জনক অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। আমরা স্রেফ টহল দেওয়ার জন্য যাই । লড়াইয়ের জন্য তৈরিই ছিলাম না।” ওই সেনা আধিকারিকের বক্তব্য, ভারত গালওয়ানের চিনকে পাল্টা জবাব দিয়েছিল। আমরা পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। তবে এবার থেকে আমরাও যে কোনও অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকব। এদিনের হামলার পরই জলসীমায় ‘ব্রহ্মস’ মোতায়েনের তোড়জোড় শুরু করেছে ফিলিপিন্স। কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারত থেকে ব্রহ্মস হাতে পেয়েছে তাঁরা। এখন চিনের দখলদারির আশঙ্কায় সেই ব্রহ্মসই তাঁদের ভরসা।