• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

আমেরিকার কলেজ থেকে ডিগ্রি লাভ করলেই গ্রিন কার্ড অভিবাসী পড়ুয়াদের, প্রতিশ্রুতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের

ওয়াশিংটন, ২১ জুন– আমেরিকায় পড়তে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য সুখবর৷ পড়া শেষেই আর তড়িঘড়ি ফিরে আসতে হবে না তাদের৷ আমেরিকার স্থায়ী নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন সেখানে স্নাতকস্তরে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা৷ ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভোলবদল দীর্ঘদিন ধরে কট্টর অভিবাসী-বিরোধী

ডােনাল্ড ট্রাম্প (File Photo: IANS)

ওয়াশিংটন, ২১ জুন– আমেরিকায় পড়তে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য সুখবর৷ পড়া শেষেই আর তড়িঘড়ি ফিরে আসতে হবে না তাদের৷ আমেরিকার স্থায়ী নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন সেখানে স্নাতকস্তরে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা৷ ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভোলবদল দীর্ঘদিন ধরে কট্টর অভিবাসী-বিরোধী ডোনাল্ড ট্রাম্পের৷ এবার তাঁর প্রতিশ্রুতি বিদেশি পড়ুয়ারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্নাতক হলেই ‘অটোমেটিক’ গ্রিন কার্ড পেয়ে যাবেন৷

সম্প্রতি আমেরিকার একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, মার্কিন ভোটারদের ৫৯ শতাংশই চান অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হোক৷ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অভিবাসী ইসু্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে৷ তাই নির্বাচনের আগে মার্কিন ভোটারদের সহানুভূতি হাসিল করতে এই অটোমেটিক গ্রিন কার্ডের ঘোষণা ট্রাম্পের৷ ‘অল-ইন’ পডকাস্টে এক সাক্ষাৎকারে বিদেশি পড়ুয়াদের নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প৷ বলেন, ‘আমি যেটা করতে চাই- সেটা এরকম হবে৷ কেউ যদি আমেরিকার কলেজ থেকে ডিগ্রি লাভ করে তাহলেই গ্রিন কার্ড দেওয়া হবে ওই পড়ুয়াকে৷ সেই গ্রিন কার্ড ব্যবহার করে আমেরিকায় থাকতে পারবেন বিদেশি পড়ুয়ারা৷’

জানিয়ে রাখি, বিদেশে পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত৷ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে দেশ ছেডে় বিদেশে পড়তে গিয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯২৩ জন৷ তার আগের বছরের তুলনায় যা ৩৫ শতাংশ বেশি৷ এর মধ্যে প্রচুর সংখ্যক আমেরিকায় গিয়েছেন পড়তে৷ অথচ, আমেরিকা প্রশাসন এতদিন ধরে তাদের স্থায়ী বসবাস নিয়ে ব্যাপক টালবাহানা করছিল৷ বিশেষত ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন বিদেশিদের বসবাসের অধিকার দেওয়ার ঘোরতর বিরোধী৷ কিন্ত্ত, এবারের নির্বাচনে অভিবাসী একটি বড় ইসু্য হয়ে উঠেছে৷ তাই ট্রাম্পের এরকম ভোলবদল বলে মনে করা হচ্ছে৷

এই যোগ্যতার ভিত্তিতে অভিবাসীর আবেদন অনুমোদিত হলে তিনি গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে তিন বছর সময় এবং একটি অস্থায়ী ‘ওয়ার্ক পারমিট’ বা কাজের অনুমতি পাবেন৷ তাছাড়া এর মধ্যে তিনি আমেরিকা ছেডে় চলে যাওয়ার হাত থেকে রেহাইও পাবেন৷ সেই হিসেবে ট্রাম্পের এই নীতিবদলে ভোটের মুখে বাইডেনকেও চাপের মুখে ঠেলে দিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট৷

তবে ইতিমধ্যেই আমেরিকায় অবৈধভাবে বসবাস করা কয়েক হাজার অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দিতে একটি নতুন উদ্যোগের কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও৷ এই উদ্যোগের আওতায় মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেছেন এমন প্রায় পাঁচ লাখ অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে৷ নির্বাচনের বছরে বাইডেনের পদক্ষেপ রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির ঘোর বিপরীত৷

প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি সীমান্ত বা অভিবাসন নিয়ে রাজনীতি করতে আগ্রহী নই৷ আমি এটা ঠিক করতে আগ্রহী৷ বাইডেনের নতুন এই পদক্ষেপে প্রায় পাঁচ লক্ষ অভিবাসী নাগরিকত্ব পাবেন৷ এ জন্য একজন অভিবাসীর গত ১৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের ১০ বছর পূর্ণ হতে হবে এবং আমেরিকার একজন নাগরিকের সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হতে হবে৷ মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ মা-বাবার ২১ বছর বয়সের কম বয়সি প্রায় ৫০ হাজার ছেলেমেয়েও একইভাবে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ পাবেন৷