• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

শিক্ষায় নয়, মোদির পরীক্ষা পে চর্চার খরচ বেড়ে ১০.৪ কোটি

দিল্লি, ২১ জুন– ছাত্র-শিক্ষায় নয়, হু হু করে খরচ বেড়েছে চর্চায়৷ এখানে কথা হচ্ছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চায় পে চর্চার৷ ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি পরীক্ষা পে চর্চার ষষ্ঠ অনুষ্ঠানটি হয়েছিল দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে৷ সেখানে ৩৮ লক্ষ পড়ুয়া নাম নথিভুক্ত করেছিল৷ যা আগের বছরের তুলনায় ১৫ লক্ষ বেশি৷ কোভিড মহামারীর কারণ চতুর্থ পরীক্ষা পে চর্চাটি

দিল্লি, ২১ জুন– ছাত্র-শিক্ষায় নয়, হু হু করে খরচ বেড়েছে চর্চায়৷ এখানে কথা হচ্ছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চায় পে চর্চার৷ ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি পরীক্ষা পে চর্চার ষষ্ঠ অনুষ্ঠানটি হয়েছিল দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে৷ সেখানে ৩৮ লক্ষ পড়ুয়া নাম নথিভুক্ত করেছিল৷ যা আগের বছরের তুলনায় ১৫ লক্ষ বেশি৷ কোভিড মহামারীর কারণ চতুর্থ পরীক্ষা পে চর্চাটি হয়েছিল অনলাইনে৷ দূরদর্শনে তা সম্প্রচারিত হয়৷ জানা গিয়েছে এই চায় পে চর্চায় বর্তমানে খরচ ১০.৪ কোটি৷ যা অতীতে ছিল ৩.৬৭ কোটি৷ এই অনুষ্ঠানের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারে যা খরচ করা হয়েছে তা জানলেই মাথায় হাত উঠবে৷
দেশের পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘নজিরবিহীন উদ্যোগ’ পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানের খরচ গত ৬ বছরে ১৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ২০১৮ সালে শুরু হওয়া পরীক্ষা পে চর্চার প্রথম অনুষ্ঠানে খরচ পডে়ছিল ৩.৬৭ কোটি টাকা৷ ২০২৩ সালে ওই অনুষ্ঠানে খরচ হয়েছে ১০.০৪ কোটি৷ তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই) এক আবেদনের ভিত্তিতে সরকার এই হিসাব পেশ করেছে৷
মানবাধিকার কর্মী কানহাইয়া কুমার আরটিআই আইনে প্রধানমন্ত্রীর পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানের খরচ জানতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন৷ তাতে সরকার জানিয়েছে, ২০১৯ সালে খরচ হয়েছে ৪.৯৩ কোটি, ২০২০ সালে ৫.৬৯, ২০২১-এ ৬ কোটি এবং ২০২২ সালে ৮.৬১ কোটি টাকা৷
এই ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য বিপুল পরিমাণ খরচের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে কানহাইয়া কুমার বলেন, পরীক্ষা পে চর্চার জন্য প্রতিবছর রাজকোষ থেকে জলের মতো টাকা চলে যাচ্ছে৷ অথচ, এইসব ছাত্রছাত্রীদেরই ভবিষ্যৎ এবং কঠিন পরিশ্রম নষ্ট হচ্ছে নিটের মতো নানান পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের মতো অনিয়মের ফলে৷ দেশের পড়ুয়ারা চাইছেন, পরীক্ষা পে চর্চা বন্ধ করে প্রধানমন্ত্রী এখনই প্রশ্নফাঁস পে চর্চা করুন, বলেন কানহাইয়া কুমার৷
আবেদনে ২০২৪ সালের খরচও জানতে চাওয়া হয়েছিল৷ কিন্ত্ত, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের অধীন বিদ্যালয় শিক্ষা ও সাক্ষরতা দফতরের তরফে জানানো হয়, এই অনুষ্ঠান এখনও সম্পূর্ণ হয়নি৷ যদিও চলতি বছরের গত ২৯ জানুয়ারি নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে সপ্তম পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানটি হয়েছিল৷
আরটিআই আবেদনে খরচের বিস্তারিত হিসাব চাওয়া হয়েছিল৷ কিন্ত্ত, প্রতিবছরের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দিতে পারেনি দফতর৷ এডসিল নামে শিক্ষামন্ত্রকের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ২০২১ সালের সম্পূর্ণ এবং ২০২২ সালের আংশিক হিসাব প্রকাশ করেছে৷ ২০২১ সালে ৩৬টি ছবি বানাতে খরচ পডে়ছিল ২.১৮ কোটি, নির্মাণ খরচ হয়েছিল ১.৯ কোটি, বিজ্ঞাপনে ৬৬ লক্ষ, ১০.৫ লক্ষ ভিডিও কনফারেন্সিং, ৩.৫ লক্ষের বইপত্র এবং ২.৪৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল বস্তা বস্তা এসএমএস পাঠানোর জন্য৷
২০২২ সালের মোট খরচের ৮.৬১ কোটি টাকার মধ্যে ১৪.৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্রোমোশন খাতে৷ গতবছর লোকসভায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা পে চর্চার প্রথম পাঁচটি অনুষ্ঠানে খরচ পডে়ছিল ২৮ কোটি টাকার বেশি৷