• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

দু’সপ্তাহের মধ্যে স্কুল শিক্ষকদের যাবতীয় তথ্য পোর্টালে আপলোড করতে হবে: হাইকোর্ট

নিজস্ব সংবাদদাতা, ২০ জুন:  বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় বড় নির্দেশ। এদিন একটি মামলায় শুনানির সময় বিচারপতি জানিয়েছেন, ‘আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সব সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যাবতীয় তথ্য সরকারি পোর্টালে আপলোড করতে হবে। সেই তথ্য আপলোড হবে ‘বাংলার শিক্ষা’

নিজস্ব সংবাদদাতা, ২০ জুন:  বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় বড় নির্দেশ। এদিন একটি মামলায় শুনানির সময় বিচারপতি জানিয়েছেন, ‘আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সব সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যাবতীয় তথ্য সরকারি পোর্টালে আপলোড করতে হবে। সেই তথ্য আপলোড হবে ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে। বিচারপতি জানিয়েছেন, ‘যে সব শিক্ষক বা শিক্ষিকারা সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুলে পড়াচ্ছেন, তাঁদের যোগ্যতা কী? তা পড়ুয়া ও অভিভাবকদের জানা উচিত’।

প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পর রাজ্যের শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানান, ‘স্কুলের শিক্ষক যে যে বিষয়ে পড়াচ্ছেন, সেই বিষয়ে তাঁর যোগ্যতা কী, সেটা ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের জানা উচিত। কারণ অভিযোগ উঠেছে যে, বহু শিক্ষক-শিক্ষিকার যোগ্যতা নেই, অথচ তাঁরা স্কুলে পড়াচ্ছেন। রাজ্যকে সেইজন্য প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকার যোগ্যতা কী, তা সরকারি পোর্টালে আপলোড করতে হবে। যাতে সকলেই তা জানতে পারেন ও দেখতে পারেন।’

তবে এদিন আদালতে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য জড়ো করতে আরও ২ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক। কিন্তু বিচারপরি সেই সময় দিতে রাজি হননি। তিনি মাত্র ২ সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। যদিও এদিন রাজ্যের তরফে হুগলি, বীরভুম ও নদিয়া জেলার রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি বসু বলেন, ‘রাজ্য সমস্ত ব্যাপারে এত স্লো কেন? আরও দ্রুত কাজ করতে হবে। বহু শিক্ষক চার-পাঁচ বছর ধরে চাকরি করছেন, কিন্তু কোনওরকম নিয়োগপত্র নেই। তাই আর দেরি করা যাবে না। কারা স্কুলে চাকরি করছেন, সেটা সবার জানা দরকার।’ এদিন যে মামলার জেরে হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে সেই মামলাটি মুর্শিদাবাদ জেলার গোথা হাইস্কুলের একটি নিয়োগ সংক্রান্ত ঘটনার জেরে এসেছে। এই প্রসঙ্গে সরকারি পোর্টালে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমস্ত তথ্য আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত! ফলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কার্যত একটি বড় নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর স্পষ্ট কথা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগ্যতা কী সেটা অভিভাবকদের জানা উচিত।

উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তার ছেলে অনিমেষ তিওয়ারিকে স্কুলের চাকরিতে নিযুক্ত করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই মামলাতেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সিট গঠন করতে বলেছিলেন। তদন্ত শুরুর পর এখনও পর্যন্ত সিআইডি অন্তত সাতজনকে খুঁজে পেয়েছে, যারা কোনওরকম পরীক্ষা না দিয়েই বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করছে। এরপরই রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে আদালত সমস্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগ্যতার তথ্য ‘বাংলার শিক্ষা পোর্টাল’-এ আপলোড করার নির্দেশ দিল। এতে খুশি অভিভাবকরা।