• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নারী নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগের নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে যোগীরাজ্য

লখনউ,  ১৯ জুন –   নারী নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগের নিরিখে ফের দেশের মধ্যে শীর্ষে যোগীরাজ্য। দ্বিতীয়  রাজধানী দিল্লি। চলতি বছরে দেশের নানাপ্রান্ত থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনে মোট ১২ হাজার ৬০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। সেগুলির মধ্যে পরিবার এবং পরিবারের বাইরে, উভয় ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যৌন হেনস্থার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, নথিভুক্ত অভিযোগের অর্ধেকের বেশি

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র (Photo: iStock)

লখনউ,  ১৯ জুন –   নারী নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগের নিরিখে ফের দেশের মধ্যে শীর্ষে যোগীরাজ্য। দ্বিতীয়  রাজধানী দিল্লি। চলতি বছরে দেশের নানাপ্রান্ত থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনে মোট ১২ হাজার ৬০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। সেগুলির মধ্যে পরিবার এবং পরিবারের বাইরে, উভয় ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যৌন হেনস্থার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, নথিভুক্ত অভিযোগের অর্ধেকের বেশি দায়ের হয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ থেকে। পরিসংখ্যান মাফিক , অভিযোগের নিরিখে উত্তরপ্রদেশের মতোই এগিয়ে রয়েছে একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ তুলনায় অনেক পিছনে।

চলতি বছরে  যোগীরাজ্যে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে ৬ হাজার ৪৯২টি। জাতীয় মহিলা কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে এ পর্যন্ত কমিশনে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত ১২ হাজার ৬৪৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যার অর্ধেকের বেশিই জমা পড়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে। দিল্লি  থেকে জমা পড়েছে ১ হাজার ১১৯টি অভিযোগ। তালিকায় এরপর রয়েছে মহারাষ্ট্র ও বিহার। যথাক্রমে ৭৬৪ ও ৫৮৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে ওই দুই রাজ্য থেকে।
 
তালিকার প্রথম ৭ রাজ্যের মধ্যে ৬টিই বিজেপি শাসিত রাজ্য। একমাত্র দিল্লি ব্যতিক্রম। তবে দিল্লির আইনশৃঙ্খলার ভারও বিজেপিশাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই ন্যস্ত থাকে। নারী নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগের নিরিখে বাংলা রয়েছে অষ্টম স্থানে। চলতি বছর বাংলা থেকে মাত্র ৩০৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
 

তাৎপর্যপূর্ণ হল, ২০১৭-তে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে যোগী আদিত্যনাথ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির দাবি করে আসছেন। বস্তুত ভোটের প্রচারে তাঁর মুখে সর্বদা আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি, বিশেষ করে নারী নির্যাতন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ করার কথা শোনা গিয়েছে। মহিলা কমিশন এবং ভারত সরকারের জাতীয় অপরাধপঞ্জীর তথ্য ভিন্ন কথা বললেও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নানা সময়ে নারী সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ করায় যোগীর পিঠ চাপড়েছেন। যদিও সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে সেই প্রচার তেমন কাজ করেনি বলে গেরুয়া শিবিরও মনে করছে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির খারাপ ফলে যোগী প্রশাসনের উপর অনাস্থাও কাজ করেছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন।