• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভারতীয় মহিলা সেজে মধুচক্রের ফাঁদ আইএসআই-য়ের 

দিল্লি, ১৮ জুন – ভারতীয় মহিলা সেজে ভারতীয় আধিকারিকদের মধুচক্রে ফাঁসাচ্ছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা  আইএসআই-এর একাধিক গুপ্তচর। আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তি করার দায়ে সম্প্রতি ব্রহ্মস এরোস্পেস সংস্থার প্রাক্তন বিজ্ঞানী নিশান্ত আগরওয়ালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত। মামলার নথি থেকে জানা যায় ব্রহ্মসের প্রাক্তন বিজ্ঞানী নিশান্তের সঙ্গে  সেজাল নামের এক মহিলা আলাপ জমান। ব্রিটেনের ‘হেয়জ এভিয়েশন’ নামক

দিল্লি, ১৮ জুন – ভারতীয় মহিলা সেজে ভারতীয় আধিকারিকদের মধুচক্রে ফাঁসাচ্ছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা  আইএসআই-এর একাধিক গুপ্তচর। আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তি করার দায়ে সম্প্রতি ব্রহ্মস এরোস্পেস সংস্থার প্রাক্তন বিজ্ঞানী নিশান্ত আগরওয়ালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায় ব্রহ্মসের প্রাক্তন বিজ্ঞানী নিশান্তের সঙ্গে  সেজাল নামের এক মহিলা আলাপ জমান। ব্রিটেনের ‘হেয়জ এভিয়েশন’ নামক একটি সংস্থায় তিনি কর্মরত বলে জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেজালরূপী ওই পাক গুপ্তচর ভারতীয় বায়ুসেনার দুই আধিকারিকের সঙ্গেও চ্যাট করতেন বলে জানা গিয়েছে। এভাবেই ভারতীয় মহিলা সেজে ভারতের আধিকারিকদের মধুচক্রে আকৃষ্ট করত পাকিস্তানের আইএসআই-এর একাধিক গুপ্তচর। তাঁদের কারও নাম হয়ত সেজাল কাপুর, কারও আবার আরোহি আলো, কেউ নাম নেন  অদিতি আগরওয়াল, অনামিকা শর্মা,বা দিব্যা রায় হিসেবে ।
 
এভাবেই মধুচক্রে অসাবধানী পা ফেলেছিলেন ব্রহ্মসের প্রাক্তন বিজ্ঞানী নিশান্ত আগরওয়াল। উত্তরপ্রদেশ এটিএস আধিকারিক পঙ্কজ অবস্থি জানিয়েছেন, নিশান্তকে ফাঁসিয়ে দেন  সেজাল নামক এক ভুয়ো প্রোফাইলের নেপথ্যে থাকা পাক গুপ্তচর।
 
নথি থেকে জানা যাযে, সেজাল ছাড়াও নিশান্তের ফ্রেন্ড লিস্টে আরও দুটি প্রোফাইল ছিল, যেগুলি পাকিস্তানি । সেই প্রোফাইলগুলি নেহা শর্মা এবং পূজা রঞ্জনের নামে ছিল। অন্যদিকে, সেজালের সঙ্গে নিশান্ত লিঙ্কডিনেও কথা বলেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেজালের নির্দেশে কিউহুইস্পার, চ্যাট টু হায়ার এবং এক্স ট্রাস্ট নামক তিনটি অ্যাপে পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করেছিলেন নিশান্ত। এই অ্যাপগুলি আদতে ছিল ম্যালওয়্যার। নিশান্তের ডেটা চুরি করা হয়েছিল এই সব অ্যাপের মাধ্যমে তাঁর ডিভাইস হ্যাক করে। এই সেজাল নাকি প্রতিরক্ষা খাতের সঙ্গে যুক্ত আরও অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল।
 
ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার তথা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অচ্যুত দে এই মামলায় আদালতে সাক্ষী দিয়েছিলেন। তিনি আদালতকে বলেছিলেন যে, নিশান্তের অফিসের কম্পিউটার থেকে তথ্য পাঠানো বা অপব্যবহার করার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে নিশান্তের ল্যাপটপ থেকে কিছু তথ্য উদ্ধার হয়েছে। যদিও ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা ল্যাপটপে বিভাগীয় তথ্য রাখার কোনও নির্দেশ ছিল না।
 
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নিশান্তকে তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কারের জন্যও সুপারিশ করা হয়েছিল। তারপরেই এই ঘটনাটি সামনে আসে। ২০১৮ সালে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের এটিএস এবং সেনাবাহিনীর গুপ্তচর বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।


লখনউ ভিত্তিক এক বায়ুসেনা আধিকারিকও সেজালের সঙ্গে আবেগপ্রবণ চ্যাট করেছিলেন। তবে এই মামলায় সেই আধিকারিককে অভিযুক্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এছাড়াও অমৃতসরের এক বায়ুসেনা আধিকারিকের সঙ্গেও নাকি এই সেজালের কথোপকথন হত। তবে তিনি এই মামলায় অভিযুক্ত নন ।