• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কি কপাল রে বাবা, আমেও না!

গ্রীষ্ম আসলে যেমন প্রখর রোদে নাভিশ্বাস ওঠা কষ্টের কথা মনে পড়ে আবার ফলের রাজা আমের কথাও মনে পড়ে৷ মৌসুমী ফল আম৷ পুষ্টিগুণে ভরা এই রসালো ফলটি পাতে পেলে কেউই না বলতে পারেন না৷ এছাড়া আমের শরবত, মোরব্বা তো আছেই৷ তবে কি জানেন তো, আম যতই পুষ্টি-গুণে ভরা হোক না কেন কিছু মানুষের জন্য এটি আবার

গ্রীষ্ম আসলে যেমন প্রখর রোদে নাভিশ্বাস ওঠা কষ্টের কথা মনে পড়ে আবার ফলের রাজা আমের কথাও মনে পড়ে৷ মৌসুমী ফল আম৷ পুষ্টিগুণে ভরা এই রসালো ফলটি পাতে পেলে কেউই না বলতে পারেন না৷ এছাড়া আমের শরবত, মোরব্বা তো আছেই৷ তবে কি জানেন তো, আম যতই পুষ্টি-গুণে ভরা হোক না কেন কিছু মানুষের জন্য এটি আবার বিষ৷ ভাবছেন কি কপাল রে বাবা, আমেও না৷
আসলে আম খেলে অনেকেরই হিতে-বিপরীত হতে পারে৷ জেনে নিন কারা ভুলেও আম খাবেন না৷ ভালোরই কিছু খারাপ দিক রয়েছে৷ আমও এর অন্যথা নয়৷ গবেষকদের কথায়, কিছু কিছু ব্যক্তিদের অবশ্যই আম খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে৷ নইলে তাদের শারীরিক সমস্যা আরও জটিল থেকে জটিলতর দিকে যেতে পারে৷ এখন প্রশ্ন হল, এমন ভরা আমের মৌসুমে কাদের আমের থেকে সমদূরত্ব নীতি বজার রেখে চলতে হবে?
যাদের অ্যালার্জি আছে তারা আখ খাবেন না৷ যেকোনও খাবার থেকে অ্যালার্জি হতে পারে৷ শুধু কি আম এরকম মানুষদের এমনকি বিভিন্ন ধরনের ফল খেলেও এই সমস্যা হয়৷ এই যেমন ল্যাটেক্স অ্যালার্জি থাকলে আম খেলে আর রক্ষে নেই৷ কারণ আমের প্রোটিন ও ল্যাটেক্সের মধ্যে অনেকটাই মিল রয়েছে৷ তাই শরীর আমের প্রোটিনকে ল্যাটেক্স ভেবে ভুল করে বসে৷ এই কারণে র্যাশ, চুলকানি, পেটে ব্যথা, গ্যাস, অ্যাসিডিটিসহ একাধিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়৷ তাই ল্যাটেক্স অ্যালার্জি থাকলে আম না খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ৷ এর মাধ্যমেই সুস্থ থাকবে শরীর৷
ডায়াবেটিস আক্রান্তদের আম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ৷ ডায়াবেটিস রোগীদের আম খেতে হবে রয়েসয়ে হাই ব্লাড সুগারের মতো সমস্যা থাকলে খাবার নিয়ে সচেতন হওয়া কিন্ত্ত অত্যন্ত জরুরি৷ নইলে চোখ, কিডনি, হার্ট ও স্নায়ুর বারোটা বাজতে সময় লাগে না৷ তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার ডায়াবিটিস রোগীদের ডায়েট নিয়ে সচেতন করে থাকেন৷ প্রসঙ্গত, আমে রয়েছে প্রাকৃতিক সুগার৷ আর এই সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় খানিকটা বেশি৷ তাই আম খাওয়ার মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেডে় যায়৷ এই কারণেই ডায়াবিটিস রোগীদের আম খেতে হবে মেপে৷ এক্ষেত্রে মাঝমাঝে আমের একটা স্লাইস খেলে তেমন বড় কোনও সমস্যার আশঙ্কা নেই৷
কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের সমস্যার বিপদ বাড়ায়৷ আসলে আমে খুব বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে না৷ তাই আম বেশি পরিমাণে খেলে পেটের হজম শক্তির উপর চাপ পডে়৷ এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের একাধিক সমস্যা এই ফাঁকে নাস্তনবুদ করে তুলতে পারে৷ তাই এই ধরনের সমস্যায় ভুক্তভোগী রোগীরা অবশ্যই কম পরিমাণে আম খান৷ নইলে যে জটিলতা আরও কয়েকগুণ বাড়তে পারে৷ তবে আমের একটা ছোট অংশ খেলে এই ধরনের সমস্যা বাড়াবাডি় দিকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না৷
যাদের ওজন বেশি তারা আম থেকে দূরে থাকুন৷ ওজন বাড়লে একাধিক জটিল অসুখ পিছু নেয়৷ এই তালিকায় ডায়াবিটিস, হাই ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরল থেকে শুরু করে একাধিক বিপাকীয় সমস্যা রয়েছে৷ তাই যেন তেন প্রকারেণ ওজন কমাতে হবে৷ তবে নিয়মিত আম খেলে ওজন কমার পরিবর্তে বাড়তে পারে৷ আসলে আমে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ক্যালোরি৷ এই অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যালোরির গুঁতোয় ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে৷ তাই ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই আম খাওয়ার পরিমাণে রাশ টানতে হবে৷