• facebook
  • twitter
Saturday, 19 October, 2024

অধীর কি ফের উপনির্বাচনে লোকসভা বা রাজ্যসভার প্রার্থী হতে চলেছেন? দিল্লিতে বাংলো না ছাড়ার শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

দিল্লি, ১৫ জুন– বহরমপুরের একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সাংসদ এবং বাংলায় কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ২০২৪ লোকসভা ভোটে সদ্য পরাজিত হয়েছেন। ফলে নিয়ম অনুসারে তাঁকে দিল্লিতে প্রাক্তন সাংসদের জন্য বরাদ্দ বাংলা ছাড়াই সাংবিধানিক রীতি। সূত্রের খবর, সম্প্রতি অধীরবাবু নিয়ম মেনে দিল্লির সরকারি বাংলো ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু আচমকা বাদ সাধল কংগ্রেস হাই কমান্ডের নির্দেশ।

দিল্লি, ১৫ জুন– বহরমপুরের একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সাংসদ এবং বাংলায় কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ২০২৪ লোকসভা ভোটে সদ্য পরাজিত হয়েছেন। ফলে নিয়ম অনুসারে তাঁকে দিল্লিতে প্রাক্তন সাংসদের জন্য বরাদ্দ বাংলা ছাড়াই সাংবিধানিক রীতি। সূত্রের খবর, সম্প্রতি অধীরবাবু নিয়ম মেনে দিল্লির সরকারি বাংলো ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু আচমকা বাদ সাধল কংগ্রেস হাই কমান্ডের নির্দেশ। জানা গিয়েছে, অধীরবাবুর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সম্প্রতি পরামর্শ দিয়েছে, দিল্লির সরকারি বাংলো না ছাড়তে। সেই নির্দেশ পেয়ে তিনি সরকারি বাংলো ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছেন।

আর এই ঘটনা চাউর হতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। বহরমপুরে সদ্য পরাজিত হয়েছেন অধীর চৌধুরী। সর্বোপরি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ভোটের ফল একেবারেই ভালো নয়। সাকুল্যে একটি আসন পেয়েছে হাত শিবির। তা সত্ত্বেও অধীর চৌধুরীর ওপর আস্থা রেখেছে কংগ্রেস হাই কম্যান্ড। বর্তমানে দিল্লিতে তাঁর দখলে থাকা সাংসদের বাংলো না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে দল। কিন্তু কেন? তাহলে কি অধীর চৌধুরীর সাংসদ পদ বজায় রাখার নয়া কোনও কৌশল নিয়েছে কংগ্রেসের জাতীয় নেতারা! এই জল্পনায় তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে নাকি আসন্ন রাজ্যসভার নির্বাচনে জিতিয়ে আনতে চাইছে কংগ্রেস। যাতে অধীর চৌধুরী সংসদের অধিবেশনে প্রধান বিরোধী দল তথা ইন্ডিয়া জোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করার জন্য তাঁকে নাকি অন্য কোনও রাজ্য থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে জিতিয়ে আনা হতে পারে। দলীয় সূত্রে সেই ইঙ্গিতও নাকি মিলেছে।

প্রসঙ্গত লোকসভা নির্বাচনের পর গত ৮ জুন দিল্লিতে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়। অধীরবাবু কংগ্রেসের কর্মসমিতির সদস্য। সেজন্য ৮ তারিখের সেই বৈঠকে ডাকা হয় অধীরবাবুকে। লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের জন্য তিনি সেই বৈঠকে দলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু হাত শিবিরের শীর্ষ নেতারা তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন, এখনই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও দরকার নেই। পরিবর্তে রাজ্যওয়াড়ি হারের কারণ বিশ্লেষণ করার জন্য আলাদা কমিটি গড়বেন বলে জানিয়ে দেন দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ভোটের ফল পর্যালোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খাড়গে জানিয়ে দেন।

এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে ভোটের ফল পর্যালোচনা করতে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। আগামী ২১ জুন মৌলালী যুব কেন্দ্রে সেই বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে থাকবেন প্রদেশের সমস্ত নেতারা। থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ও এবারের লোকসভা ভোটে রাজ্যের সমস্ত প্রার্থীরা। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গুলাম আহমেদ মীর। তিনিই এই পর্যালোচনা পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট পেশ করবেন। ৯ জুন কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই এই বিষয়গুলি স্পষ্ট হয়ে যায়। আরও একটি বিষয় জানা যায়, ওই দিন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা জানিয়ে দেন,”আপনি দিল্লির বাংলো ছাড়বেন না।”

কিন্তু সাংবিধানিক নিয়ম উপেক্ষা করে অগত্যা অধীরবাবুকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কেন এই নির্দেশ দিয়েছেন? এই নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা! অনেকের ধারণা, হয় তাঁকে রাজ্যসভায় জিতিয়ে আনতে চাইছেন তাঁরা, নাহলে তাঁকে কোনও রাজ্যের উপনির্বাচনে জিতিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, সামনেই রাজ্যসভার ১০ আসনের নির্বাচন। জোটসঙ্গীদের সহায়তা পেলে ২-৩টি আসন জিততে পারে কংগ্রেস। সেই আসনগুলিতে কি অধীরকে ভাবা হচ্ছে? নাকি রাহুল গান্ধী কেরলের ওয়ানাড় থেকে পদত্যাগ করলে সেই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হবে অধীরকে? সবটাই এখনও জল্পনার স্তরে।