• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বর্ধমান-রামপুরহাট লুপ লাইনে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ রেলের

আমিনুর রহমান, বর্ধমান, ১৫ জুন — পূর্ব রেলের বর্ধমান – রামপুরহাট লুপ লাইনে একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। ওই রেল শাখার নোয়াদার ঢাল স্টেশনে যে সেতু রয়েছে তা এখন জরাজীর্ণ অবস্থা। তাই তড়িঘড়ি সেতু ভেঙ্গে আর একটি নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয় রেলের তরফে। সেতু ভাঙ্গা পড়লে স্থানীয়রা সংকটে পরবেন। এই দাবি ছিল

আমিনুর রহমান, বর্ধমান, ১৫ জুন — পূর্ব রেলের বর্ধমান – রামপুরহাট লুপ লাইনে একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। ওই রেল শাখার নোয়াদার ঢাল স্টেশনে যে সেতু রয়েছে তা এখন জরাজীর্ণ অবস্থা। তাই তড়িঘড়ি সেতু ভেঙ্গে আর একটি নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয় রেলের তরফে। সেতু ভাঙ্গা পড়লে স্থানীয়রা সংকটে পরবেন। এই দাবি ছিল এলাকাবাসীর। রেল দপ্তর তাই এখনই সংকীর্ণ সেতু ভেঙ্গে ফেলবে না বলে জানিয়েছে। কিন্তু পাশে একটা নতুন সেতু নির্মাণ হবে বলে ঘোষণা দিলো। এই ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি স্থানীয়রা।

নোয়াদার ঢাল স্টেশনে বর্তমানে যে রেলসেতু রয়েছে তা মেরামতের প্রয়োজন আছে। আর সে দিকেই একটা পরিকল্পনা করে উদ্যোগ নেয় রেল দপ্তর। কারণ এই সেতু সংকীর্ণ ও নিচু হবার ফলে রেল চলাচলেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই অবস্থায় সম্পূর্ণ ভেঙ্গে ফেলে সেই জায়গায় নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য আবেদন পাঠানো হয়। কিন্তু স্থানীয়রা সেতু ভেঙ্গে ফেলার বিষয়ে আপত্তি তুললেও রেল দপ্তরও সিদ্ধান্ত বদল করে। পরিকল্পনা নেওয়া হয় পুরনো সেতুর পাশে দেড়শো মিটার উত্তরে নতুন সেতু হবে। এর জন্য জেলা তথা ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

এদিন রেল প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল ওই এলাকায় গিয়ে সরেজমিন ঘুরে দেখেন। ওই প্রতিনিধি দলে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সামিল করা হয়। ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম- ১ ব্লকের বিডিও সেখ কামরুল ইসলাম, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায় সহ গুসকরা -২ পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি। ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সকালের উপস্থিতিতে নতুন সেতু তৈরির জন্য মাপজোক করা হলো। এই সেতুর জন্য রেল দপ্তরের পক্ষ থেকে সাড়ে আট কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুরনো রেল সেতুর যে অসুবিধা আছে তার কথা মাথায় রেখে নতুন নির্মান করতে প্রযুক্তিগত আধুনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে রেলের এক আধিকারিক জানান। স্থানীয়দের আশ্বস্ত করা হয়েছে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোন রকম সমস্যার সৃষ্টি হবে না। নতুন ব্রিজ হবার পর পুরনো ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে জানানো হয়।