• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সাংবাদিকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ, প্রতিবাদে লিখিত অভিযোগ ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের 

অঙ্কিতা আচার্য, নদিয়া – সাংবাদিকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ, অসহযোগিতার অভিযোগ উঠলো নদিয়া জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের তথ্য আধিকারিক শুভময় মিত্রের বিরুদ্ধে। এমনকি সাংবাদিকদের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভময়বাবু। এমনটাই অভিযোগ, নদিয়া শাখার ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সদস্যদের।  একজন তথ্য আধিকারিক এহেন আচরণে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। অভিযোগ এখানেই শেষ নয়, ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে শুভময়বাবুর বিরুদ্ধে।

অঙ্কিতা আচার্য, নদিয়া – সাংবাদিকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ, অসহযোগিতার অভিযোগ উঠলো নদিয়া জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের তথ্য আধিকারিক শুভময় মিত্রের বিরুদ্ধে। এমনকি সাংবাদিকদের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভময়বাবু। এমনটাই অভিযোগ, নদিয়া শাখার ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সদস্যদের। 
একজন তথ্য আধিকারিক এহেন আচরণে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। অভিযোগ এখানেই শেষ নয়, ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে শুভময়বাবুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, আরএনআই প্রাপ্ত দৈনিক সংবাদপত্রের সাংবাদিককে আসন্ন উপনির্বাচনের নির্বাচনী কার্ড ইস্যু করা নিয়েও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কিসের বলে? কার ইন্ধনে একজন সরকারি আধিকারিক সরাসরি সাংবাদিকদের সঙ্গে এহেন আচরণ করেন? এমনটাই প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিকরা। এর প্রতিবাদে শুক্রবার নদিয়া শাখার ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন ও লিখিত অভিযোগ জানানো হয় তথ্য আধিকারিকের কাছে।
সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনেও সাংবাদিকদের সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল জেলা তথ্য আধিকারিক শুভময় মিত্রের বিরুদ্ধে। আগামী ১০ই জুলাই রানাঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন রয়েছে। সেই উপ নির্বাচন কভার করার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী কার্ড ইস্যু করে। কিন্তু আরএনআই প্রাপ্ত দৈনিক সংবাদপত্রের সাংবাদিকদের সেই নির্বাচনী কার্ড ইস্যু করতে নারাজ হন জেলা তথ্য আধিকারিক শুভময়বাবু। ২জন সাংবাদিক রয়েছেন যাদের নির্বাচনী কার্ড ইস্যু করতে চাননি শুভময়বাবু। এই বিষয়ে নদিয়া জেলার ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জেলা তথ্য আধিকারিক শুভময়বাবুর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে অভব্য আচরণ এবং সাংবাদিকদের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ। কিছুতেই তিনি ওই দুজন সাংবাদিকদের নির্বাচনী কার্ড ইস্যু করবেন না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন। তিনি বারংবার জানান সরকারের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশের কোনো কপি শুভময় বাবু দেখাতে পারেননি।
যদিও সরকারি সূত্রে জানা যায়, সংবাদপত্র যে কোনো জেলা থেকে প্রকাশ হোক না কেনো সেই সংবাদপত্রের আরএনআই নম্বর থাকলে নির্বাচনী কার্ড ইস্যু করা হয়। কিন্তু শুভময় বাবু তার সিদ্ধান্তে অনড়।
ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টি কৃষ্ণনগর লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র, রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসকে জানানো হয়েছে। তাঁরাও শুভময় বাবুর এহেন আচরণে অবাক হয়েছেন। এবং বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন নদিয়া শাখার ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সদস্যদের। ইতিমধ্যে নদিয়া শাখার ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে এর জবাব জানতে চাওয়া হয়েছে শুভময় বাবুর কাছে।
প্রশ্ন উঠছে, একজন সরকারি আধিকারিক কিভাবে সাংবাদিকদের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন? গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে এইভাবে অপমান করার অধিকার আদৌ কি রয়েছে শুভময় বাবুর? তথ্য আধিকারিকের এই উদ্ধত্য হতবাক করেছে নদিয়া শাখার ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সদস্যদের। অবিলম্বে শুভময় বাবু লিখিত অভিযোগের জবাব না দিলে এবং সরকারি নির্দেশের কপি না দেখালে তাঁর বিরুদ্ধে নদিয়া শাখার ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সদস্যরা রাস্তায় নামবে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।