দিল্লি, ১৩ জুন– স্পিকার পদের দৌড়ে এবার সামিল হল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ও৷ ইন্ডিয়া জোট চাইছে না এত সহতে লোকসভার অধ্যক্ষ আসনটি এনডিএর অধীনে চলে যাক৷ বিনা যুদ্ধে বিজেপির হাতে অধ্যক্ষ পদ তুলে দেওয়ার ঘোরতর বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’৷ তবে এই যুদ্ধে অগ্রণী থাকতে দেখা যাবে কংগ্রেসকেই৷ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতোই বর্ষীয়ান কাউকে অধ্যক্ষ পদের দাবিদার করতে চাইছে কংগ্রেস৷ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী করা হয়েছিল৷
এনডিএ-র শরিকদল টিডিপি বা জেডিইউয়ের কাউকে অধ্যক্ষ করা হলে তাঁকেই ‘ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে সমর্থন করা হবে বলেই একপ্রকার ঠিক হয়েছে৷ তবে, বিজেপি যদি শরিকদের হাতে না ছেডে় নিজেদের দলের কাউকে অধ্যক্ষ পদের জন্য বেছে নেয় তাহলে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকেও পালটা প্রার্থী দেওয়া হতে পারে৷ তবে নিতান্তই যদি অধ্যক্ষের পদ নাও পাওয়া যায় তাহলে বিগত দু-বার লোকসভায় সহ-অধ্যক্ষর খালি পদটি এবার যাতে ‘ইন্ডিয়া’য় থাকা দলগুলির কোনও সাংসদ পায় সেই চেষ্টাও করতে চলেছে ইন্ডিয়া৷
অধ্যক্ষপদ নিয়ে ‘ইন্ডিয়া’র সমস্ত দলের মধ্যে আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ২৪ জুন সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পর তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করতে পারে৷ সূত্রের খবর, ডিএমকের বর্ষীয়ান নেতা, সাতবারের সাংসদ ৮৩ বছরের টি আর বালুকে জোটের পক্ষ থেকে লোকসভার অধ্যক্ষপদের জন্য প্রার্থী করার বিষয়ে আলোচনা চলছে৷ অধ্যক্ষ পদ নিয়ে টিডিপির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে ইন্ডিয়া৷ সেক্ষেত্রে বালুর দক্ষিণি পরিচয়কে কাজে লাগিয়েই সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা করা হতে পারে৷ আবার টিডিপিচাইছে অধ্যক্ষ করা হোক তাদের দল থেকেই৷ অতীতে তাদের দলের জিএমসি বালাযোগী লোকসভার প্রথম দলিত অধ্যক্ষ হিসাবে পদ সামলেছেন৷ এবার বালাযোগীর ছেলে হরিশ মাথুর বালাযোগীকে অধ্যক্ষ করা হোক বলেই চাইছে তারা৷ তাতে নিজেদের রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশে দলিত সম্প্রদায়ের ভোটের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে বলেই রাজনৈতিক হিসাব কষছে চন্দ্রবাবুর দল৷
অন্যদিকে, লোকসভার অধ্যক্ষ পদ বিজেপি যে নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ এইসব নিয়ে বিজেপির অন্দরমহলে জল্পনা চলছে৷ চলতি মাসের ২৪ তারিখ থেকে লোকসভার বিশেষ অধিবেশনে বসতে চলেছে৷ যা চলবে ৩ জুলাই পর্যন্ত৷ প্রথম দিন লোকসভার নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথ গ্রহণপর্ব মিটে গেলেই লোকসভার অধ্যক্ষ পদের নির্বাচন হবে৷ তারপর রাষ্ট্রপতির ভাষণ এবং তার উপর আলোচনা হবে৷ রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হবে ২৭ তারিখ থেকে৷ শেষ হবে একইসঙ্গে৷ শপথ গ্রহণপর্বে লোকসভা পরিচালনা করবেন প্রোটেম স্পিকারই৷ লোকসভার সবথেকে বেশিবারের সাংসদকেই প্রোটেম স্পিকারের দায়িত্ব দেওয়ার প্রথা রয়েছে৷