• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

‘তৃণমূল’ স্তরে রাজনীতি করেই উত্থান, অর্জুন-বধ করে ব্যারাকপুর জয় পার্থর

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর– রাজনৈতিক নেতৃত্ব মানেই তিনি হতে পারেন একটু গুরুগম্ভীর কিংবা অহংকারী, এই ধারণা জনমানসে বিরাজমান। তবে এই ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে তৃণমূলের সরকার। যার আদর্শ উদাহরণ ব্যারাকপুরের নবনির্বাচিত সাংসদ পার্থ ভৌমিক নিজে। সাধারণ পরিবারের ছেলে পার্থ, যাঁর পরিবারের সাথে দূরদুরান্ত পর্যন্ত ছিল না কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক। আজ তাঁর হাতেই রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রীত্ব, পাশাপাশি

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর– রাজনৈতিক নেতৃত্ব মানেই তিনি হতে পারেন একটু গুরুগম্ভীর কিংবা অহংকারী, এই ধারণা জনমানসে বিরাজমান। তবে এই ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে তৃণমূলের সরকার। যার আদর্শ উদাহরণ ব্যারাকপুরের নবনির্বাচিত সাংসদ পার্থ ভৌমিক নিজে। সাধারণ পরিবারের ছেলে পার্থ, যাঁর পরিবারের সাথে দূরদুরান্ত পর্যন্ত ছিল না কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক। আজ তাঁর হাতেই রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রীত্ব, পাশাপাশি তিনি সাংসদও। তা সত্ত্বেও একেবারে সাদামাটা জীবনযাপন করতেই দেখা যায় সাংসদকে। ‘তৃণমূল’ স্তরে পৌঁছে গিয়ে, মানুষের সাথে আত্মিক সম্পর্ক স্থাপন করে রাজনীতি করতে বিশ্বাসী তিনি। পাড়ার রকে বসেই জেনে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষের সমস্যা তথা দাবি দাওয়া, এরপর সাংসদ হিসেবে সেই সমস্যার সমাধান করবেন তিনি। কথায় বলে, যে মানুষ মাটির সাথে মিশে রাজনীতি করে, তাঁর সাথে গণশক্তি থাকে। ফলে অন্য কোনো অপশক্তি সেই ব্যক্তিকে পরাজিত করতে পারে না রাজনৈতিক ময়দানে। সেটিই যেন প্রমাণ করে দিলেন পার্থ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্যারাকপুর পরিচিত ছিল অর্জুন-গড় বলেই। এবারের নির্বাচনে সেই গড়ে দাঁড়িয়েই অর্জুন-অধ্যায় শেষ করেছেন পার্থ। অর্জুন বধ করে ‘গুন্ডারাজ মুক্ত’ ব্যারাকপুর গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন তিনি। যেমন কথা তেমন কাজ! যেকোনো নির্বাচনেই উত্তপ্ত হতে দেখা যায় ব্যারাকপুর-ভাটপাড়া অঞ্চলকে। এবারের নির্বাচনে তুলনামূলক শান্ত ছিল ব্যারাকপুর কেন্দ্র।বিক্ষিপ্ত অশান্তি হলেও তা তৎপরতার সাথে দমন করেছিলেন পার্থ। সাংসদ হওয়ার লড়াইয়ে নতুন ছিলেন তিনি, অর্জুন সেই তুলনায় ছিলেন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। কিন্তু অভিজ্ঞতার থেকেও ভোটে জেতার জন্য বেশি কার্যকরী রাজনীতি তথা জনসংযোগ করার ধরণ। হিংসা নয় সাদামাটা জীবনযাপন করে জনসাধারণের সাথে মিশে যাওয়াই নির্বাচনে জয়ের অন্যতম চাবিকাঠি, অর্জুনকে হারিয়ে তা বুঝিয়ে দিলেন পার্থ। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সাফল্যটাও চোখে পড়ার মতোই। কলেজের পড়ার সময় থেকেই রাজনীতির সাথে আত্মিক টান তৈরী হয় তাঁর। কর্মের জোরে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নজরে পড়েন। ২০২১ সালে নতুন সাংগঠনিক জেলা ব্যারাকপুর-দমদমের সভাপতি হন। সেই সঙ্গে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও দলের মুখপাত্রর দায়িত্বও পান। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ‘ডেপুটি হুইপ’ নামে পরিচিত পার্থ হয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রীও। পাশাপাশি নৈহাটীর তিনবারের বিধায়ক ছিলেন তিনি। এই সময়ই তাঁর উন্নয়নমূলক কাজ মুখ্যমন্ত্রীকে মন্ত্রমুগ্ধ করে। আর এবার লোকসভা নির্বাচনে জিতে ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়ে দিল্লিতে যাচ্ছেন তিনি।