• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শেয়ার বাজারে দুর্নীতির অভিযোগ মোদী-শাহের বিরুদ্ধে! সেবির দ্বারস্থ হল তৃণমূল

নিজস্ব প্রতিনিধি– ‘শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে প্রভাবিত করা হয়েছিল বিনিয়োগকারীদের।’ মোদী-শাহের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে ফের সেবির দ্বারস্থ তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগে মোদী-শাহ যৌথভাবেই রব তুলেছিলেন ৪ জুন। অর্থাৎ নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন শেয়ার বাজারে বড় স্রোত আসবে। কিন্তু সেদিনই শেয়ার বাজারে বয়েছিল উল্টো স্রোত। এরপরই বিজেপি-র বিরুদ্ধ সুর চড়ান বিরোধীরা। শেয়ার বাজারে

নিজস্ব প্রতিনিধি– ‘শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে প্রভাবিত করা হয়েছিল বিনিয়োগকারীদের।’ মোদী-শাহের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে ফের সেবির দ্বারস্থ তৃণমূল।

লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগে মোদী-শাহ যৌথভাবেই রব তুলেছিলেন ৪ জুন। অর্থাৎ নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন শেয়ার বাজারে বড় স্রোত আসবে। কিন্তু সেদিনই শেয়ার বাজারে বয়েছিল উল্টো স্রোত। এরপরই বিজেপি-র বিরুদ্ধ সুর চড়ান বিরোধীরা। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে বলে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ! প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তেমনটাই অভিযোগ তুলে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি-এর দ্বারস্থ হল তৃণমূল। সেবি-এর চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচকে চিঠি পাঠিয়ে পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।

তবে এটি প্রথম অভিযোগ নয়, এর আগেও গত ৫ জুনও সেবিকে চিঠি পাঠিয়েছিল তৃণমূল। দলের তরফ থেকে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। তাঁর দাবি, ভুঁয়ো বুথ ফেরত সমীক্ষাকে কাজে লাগিয়ে কারসাজি করে শেয়ার বাজারের সূচককে তোলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে তদন্ত প্রয়োজন। ৫ জুনের পর ১১ জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার আবার নতুন অভিযোগ তুলে সেবির দ্বারস্থ হল তৃণমূল। পরবর্তী অভিযোগটিও করেছেন সাকেত।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশের পর শেয়ার বাজারে এমন তেজ আসবে যে তাদের সমস্ত প্রোগ্রামিং ফেল করে যাবে।” অন্যদিকে অমিত শাহ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “৪ জুনের আগে শেয়ার কিনে নেবেন, ওটা শুট আপ করবে।” শেয়ারে ধসের পর মোদী-শাহের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই বিজেপি বিরোধিতায় নেমেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন, ৫ কোটি ঘরোয়া বিনিয়োগকারীদের উস্কে দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি হয়েছে। কালীঘাটে শনিবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও এ প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছিলেন, “দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, বেকারত্ব বাড়ছে। শেয়ার কীভাবে এত বেড়ে গেল যে একদিনে এত কিছু হল, এত টাকার মার্কেটিং হল? কে কে যুক্ত? শেয়ার বাজার আমি বুঝি না, তবে কাগজে দেখে বুঝেছি ডাল মে কুছ কালা হ্যয়। ভোটের দিন, গণনার দিন, গণনার আগের দিন যা যা হয়েছে টোটাল স্ক্যাম। বড় দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত হওয়া দরকার।” ৩ এবং ৪ জুন শেয়ার মার্কেটে তৈরী হওয়া ব্যাপক অস্থিরতার কারণ ব্যাখ্যা করে সাকেত গোখলের দাবি, বিজেপি নিজের বিরাট জয় নিশ্চিত করার জন্যই বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে উস্কানি দিয়েছিলেন মোদী-শাহ। বাজারের সূচক তোলার পেছনে কোনো কারসাজি আছে কিনা, এবার তারই তদন্তের দাবি তৃণমূলের।

ভোট মিটতেই এক্সিট পোলের তথ্যে তরতাজা হয় বিজেপি। যদিও বিরোধীদের একাংশ এক্সিট পোলকে ‘মোদী পোল’ বলেই দাবি করেছিলেন। ১লা জুনের পর থেকেই শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। কিন্তু ফলাফলের দিন দেখা যায়, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পায়নি বিজেপি। ফলে ৪ জুন যত বেলা বাড়তে থাকে ততই ধস নামতে থাকে শেয়ার বাজারে। গত ২ বছরের মধ্যে একদিনে সর্বনিম্ন ধস নামে দালাল স্ট্রিটে। ৪০০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায় সেনসেক্স ফলে লগ্নিকারীদের ৩১ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হয়। সাকেতের যুক্তি অনুযায়ী, গত ৩ জুন সেনসেক্স ২৫০০ পয়েন্ট ওঠে, এর একমাত্র কারণ ভুঁয়ো বুথফেরত সমীক্ষা। অনেক লগ্নিকারী বিপুল মুনাফা করেছিলেন সেসময়। কিন্তু ৪ জুন অর্থাৎ, ভোটের ফলের দিন সূচকটি ৪৩৮৯ পয়েন্ট পড়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, বুথফেরত সমীক্ষায় জড়িত একটি সংস্থাকে বিজেপি নিজস্ব সমীক্ষা চালানোর জন্য ভাড়া করেছিল। ওই সংস্থা ইচ্ছাকৃত ভাবে বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল কি না এবং কোন কোন সংস্থা বাজারের ওঠানামা থেকে মুনাফা কুড়িয়েছে, সে বিষয়েই তদন্তের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।