• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রাজনীতি আর পরিবেশ: দুই উত্তাপেই আক্রান্ত ছিলেন বাংলার মানুষ

বরুণ দাস অবশেষে সাতদফার লোকসভার নির্বাচন-পর্ব শেষ এবং মাননীয় নির্বাচকমণ্ডলীর কৌতূহল শেষে ফলাফলও প্রকাশিত৷ এবার কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠনের প্রস্ত্ততি৷ একদিকে বিজয়ী দলের আনন্দ-উল্লাস তো অন্যদিকে পরাজিত পক্ষের নিরানন্দ-হতাশার মধ্য দিয়েই পথচলা শুরু হতে চলেছে অষ্টাদশ লোকসভার৷ যে চলার মধ্যে হয়তো নতুনত্বের স্বাদ পাবেন না দেশের মানুষ৷ কারণ নির্বাচনের আগে অনেক গালভরা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও

বরুণ দাস

অবশেষে সাতদফার লোকসভার নির্বাচন-পর্ব শেষ এবং মাননীয় নির্বাচকমণ্ডলীর কৌতূহল শেষে ফলাফলও প্রকাশিত৷ এবার কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠনের প্রস্ত্ততি৷ একদিকে বিজয়ী দলের আনন্দ-উল্লাস তো অন্যদিকে পরাজিত পক্ষের নিরানন্দ-হতাশার মধ্য দিয়েই পথচলা শুরু হতে চলেছে অষ্টাদশ লোকসভার৷ যে চলার মধ্যে হয়তো নতুনত্বের স্বাদ পাবেন না দেশের মানুষ৷ কারণ নির্বাচনের আগে অনেক গালভরা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কাজের বেলা অশ্বরম্ভা৷ একথা দেশের মানুষ ভালো করেই জানেন৷ তাদের অভিজ্ঞতা এমনই৷

এপ্রিল-মে দু’মাসই কেটেছে তীব্র দাবদাহের মধ্যে৷ একদিকে পরিবেশগত কারণে তীব্র উত্তাপ তো অন্যদিকে নির্বাচনী উত্তাপ৷ দু’য়ে মিলে সাধারণ মানুষের একেবারে নাজেহাল অবস্থা৷ ঝড়-ঝঞ্ধা-খরা-বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সাধারণ মানুষ যেমন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হন, অন্যদিকে যুদ্ধের মতো ম্যান-মেড বিপর্যয়েও ক্ষতিগ্রস্থ হন ওই সাধারণ মানুষই৷ আবার নির্বাচনী উত্তাপেও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন ওই সাধারণ নিরপরাধ মানুষই৷ রুজি-রোজগার তথা পেশাকে দূরে সরিয়ে ভোটের মিটিং-মিছিলে শামিল হওয়া থেকে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো৷

অটো-টোটো-ভ্যান-রিক্সাচালক থেকে ফুটপাথের অভাবী সবজিওয়ালা, অসংগঠিত কর্মক্ষেত্রের কর্মীসাধারণ-সরকার-প্রকল্পিত যাবতীয় শ্রী-ভাণ্ডারের প্রাপকেরা মিটিং-মিছিলে শামিল না হলে সরকারি ডোল-ব্যবস্থার সুযোগ-সুবিধে থেকে বঞ্চিত হবেন৷ আগেও যেমন হতেন; এখনও ঠিক তেমনই হন৷ ‘চৌত্রিশ’ আর ‘তেরো’তে খুব একটা ফারাক আছে কী? স্মৃতি নেহাৎ প্রতারণা না করলে একবার মিলিয়ে দেখুন তো প্রিয় পাঠক৷ শাসকের রঙ বদলালেও শাসিতদের অবস্থা আদৌ বদলায় না৷ এটাই কঠিন বাস্তব৷ একে অস্বীকার করবেন কী করে?

‘নির্বাচনী জুমলা’ বলে একটা কথা চালু হয়েছে৷ নির্বাচনের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি৷ অনেক আশ্বাস৷ অনেক সম্ভাবনা৷ অনেক আশা-ভরসার (রূপ) কথা শোনান রাজনৈতিক দলগুলো৷ দলের নির্বাচনী ইস্তাবারে যেসব কথা সবিস্তারে উল্লেখ করা হয়, তা যে কোনওভাবেই পালন করা সম্ভব নয়- তা বোধহয় সংশ্লিষ্ট দলের নেতানেত্রীরাই ভালো করে জানেন৷ কিন্ত্ত ভোটারদের প্রলোভিত করার জন্য এরচেয়ে সহজ পথ আর কী-ই বা হতে পারে? এ বিষয়ে দক্ষিণ কিংবা বামপন্থী দলের মধ্যে খুব একটা ফারাক আছে বলে তো মনে হয় না৷

‘৫২-র পর থেকেই এসব চলে আসছে৷ তবে এখনকার মতো এতোটা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি আগে বোধহয় ছিল না৷ নির্বাচন সংক্রান্ত পুরনো ইতিহাস ঘাঁটলে একথার কিছুটা প্রমাণ মেলে৷ কিন্ত্ত দিন যতো এগিয়েছে, রাজনৈতিক দলের আধিক্য যতো বেড়েছে, ক্ষমতা দখলের আকাঙ্ক্ষা যতো তীব্র হয়েছে, রাজনীতির রঙ যতো ফিকে হয়েছে, অর্থ ও বাহুবলের প্রাধান্য যতো বেড়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ততোই কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে৷ ফলে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার আগ্রাসী বাসনায় রাজনীতি থেকে নীতি-নৈতিকতাবোধও অনেকটাই হারিয়েছে৷

নির্বাচনের আগে অনেক সমীক্ষা হয়েছে৷ প্রতিবারই হয়৷ অন্যান্যবারের মতো এবারও খ্যাত-অখ্যাত নানা সংস্থাই মাঠে নেমে পড়েছিলেন নির্বাচনী সমীক্ষার কাজে৷ কে কত আসন পাবে, কার সরকার গড়ার সম্ভাবনা প্রবল-এসব নিয়ে নানা সম্ভাবনার কথা আমরা শুনেছি সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যে৷ যদিও এসব প্রাক-সমীক্ষার কথা অনেক সময়েই মেলে না৷ এবারও যথারীতি মেলেনি৷ কারণ মানুষ ভোট দেওয়ার সময়ে কাকে বেছে নেবেন-তা আগাম অনুমান করা মুশকিল৷ অনেকেই ইচ্ছে করে সমীক্ষকদের কাছে সঠিক কথা বলেন না৷

তবুও অনেক সংস্থাই জোরের সঙ্গে ভবিষ্যৎবানি করে থাকে৷ যদিও তাদের এই জোরে পিছনেও অনেক কিছু কাজ করে৷ দলগুলো ভাড়াটে সমীক্ষকদের ‘কাজে’ লাগান৷ তাদের স্বপক্ষে জনমত গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ভাড়াটে সমীক্ষকদের দিয়ে ‘সাফল্যের আগাম খবর’ ছড়িয়ে দিতে চান৷ যাতে নির্বাচকমণ্ডলীকে বিভ্রান্ত করা যায়৷ ‘এবার ক্ষমতায় আসছি আমরাই’-এমন একটা হাওয়া তুলে দেওয়া হয়৷ এতে কিছু কাজ যে হয় না- তা নয়৷ এই হাওয়ায় ভেসে অনেক ভোটদাতা ভোট দিতে যান এবং সম্ভাব্য জয়ীদের চিহ্নে বোতান টেপেন৷
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষা করেন শহর ও শহরতলির নানা জীবিকার মানুষের সঙ্গে সরাসরি কতা বলে৷ ‘এবার কুর্সি কার দখলে?’ শিরোনামে প্রকাশিত সেসব রাজনৈতিক নির্বাচনী সমীক্ষায় যে সম্ভাবনার কথা বলা হয়- তা সবটা না হলেও কখনও-সখনও অনেকটা কিন্ত্ত মিলেও যায়৷ এমনই এক সমীক্ষায় রাজ্য কিংবা কেন্দ্রের আসন সংখ্যায় সামান্য পরিবর্তন হলেও উনিশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলে জানা গিয়েছিল৷ যদিও ৪ জুন ফল ঘোষণার পর দেখা গেল তা বাস্তবে মেলেনি৷

আসলে যে সব সংস্থা প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষার কাজ করেন, তারা কারা? কাদের গোপন মদতে (পড়ুন অর্থায়নে) ও কায়েমি স্বার্থে এরা নির্বাচনী সমীক্ষার কাজ করেন- তা জানা থাকলে নির্বাচনী সমীক্ষার ‘ফলাফল’ নিয়ে আমাদের আশান্বিত বা হতাশ হওয়ার কোনও কারণই থাকতে পারে না৷ নির্বাচনের আগে এরা পছন্দ-সই একটা জনমত গড়তে চান-যেখানে শাসকদলের পক্ষে একটা অনুকুল হাওয়া তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়৷ যাতে সাধারণ মানুষ ভাবতে বাধ্য হন- সমীক্ষায় যখন বলছে, ওরাই তো আসছে৷ ভোটটা অন্য প্রতীকে দিয়ে লাভ কী?

ভোটের আগে মাননীয় নির্বাচকমণ্ডলীর মনে এই যে একটা কৃত্রিম ছাপ (কথান্তরে একে চাপও বলা যেতে পারে) ফেলার কৌশলগত প্রচেষ্টা-আমাদের দেশে এটার মূল্য কিন্ত্ত কম নয়৷ যে-যাই বলুন না-কেন, বিভ্রান্তির বাতাবরণ বা মিথ্যের স্বরলিপি নির্মাণের গুরুত্ব ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের ‘উন্নয়নশীল’ দেশে এখনও অনেকটাই৷ আজও এসব প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষার ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না৷ যে দেশে আজও পাঁচ কেজি চাল-গম কিংবা নগদ দু’-একশো টাকা গুঁজে দিলে অভাবী ভোটারের ‘সমর্থন’ (প্রতীকে ছাপ) পেতে কোনও অসুবিধে হয়না৷

এই কঠিন ও রূঢ় বাস্তবতাকে আপনি উপেক্ষা করবেন কী করে? কলকাতা মহানগরে বসে হয়তো অনেক কিছুই সঠিক অাঁচ করা যায় না৷ বিশেষ করে খবরের কাগজ পড়ে আর টিভির সংবাদ দেখে যারা সবকিছু বিচার করতে বসেন৷ গ্রামীণ ভারতবর্ষের চেহারা ও চরিত্র একেবারেই আলাদা৷ সেখানকার মাটি ও মানুষের নিবিড় সান্নিধ্যে এলে তবেই উপলব্ধি করা যায় কত ধানে কত চাল৷ আমরা তো আসলে সস্তায় বাজিমাৎ করতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি৷ কে আর কষ্ট করে ঘরের বাইরে পা রাখতে চান? আমরা এখন ‘ড্রইংরুম বিপ্লব’-এ বিশ্বাসী৷

অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম নয়, ব্যক্তির গ্যারান্টিই কার্যতঃ প্রচারিত হয়েছে অনেক বেশি৷ কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় ক্ষেত্রেই৷ কেন্দ্র কিংবা রাজ্য (পশ্চিমবঙ্গ)-প্রশাসনের শীর্ষে থাকা ব্যক্তির নানাবিধ ‘প্রতিশ্রুতি’কেই অমোঘ হাতিয়ার করে ভোটযুদ্ধে শামিল হয়েছিলেন দু’পক্ষ৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোজিজির পাল্টা মাঠে নেমেছেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ দিল্লির ‘গ্যারান্টি’কে মিথ্যে প্রমাণ করতে আদাজল খেয়ে নির্বাচনী ময়দান কাঁপিয়েছে ‘এগিয়ে থাকা’ বাংলাও৷ দাদা-দিদির ‘গ্যারান্টি’ বলে কথা৷

‘বহিরাগত’দের (পড়ুন দিল্লির) আবার বিশ্বাস কী? বিশ্বাস যদি করতেই হয় তো বহিরাগত দাদা নয়, স্থানীয় দিদিকেই (ঘরের মেয়েকেই) করুন-এমন একটা অনুকূল বাতাবরণ নির্মাণ করতে সফল হয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যার ষোলআনা সুফল পেয়েছেন তিনি৷ বাংলার ভোটের ফলাফল অন্তত তাই বলে৷ নিজেদের প্রত্যাশাও ছাপিয়ে গেছে এ রাজ্যের শাসকদলের৷ ভোট-রাজধানীতে তৃণমূলনেত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শতকরা একশো ভাগ সফল৷ ভাজপা নেতা শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই কোনও কাজে লাগেনি৷

দিল্লির প্রতি বাংলার ভাবখানা এই, তোমরা তো বাপু পরিযায়ী বা মরশুমি পাখির মতো৷ খবরদার, বাংলার বুকে এসে জুড়ে বসার চেষ্টা করো না৷ তোমাদের বাংলাপ্রেম তো জেগে ওঠে কেবল ভোটের মরশুমে৷ ভোট মিটে গেলেই তোমাদের বাংলাপ্রেমও কর্পূরের মতো উবে যায়৷ আমরা ‘জলের সঙ্গে মাছের মতো’ মিশে থাকি বছরভর৷ এখানে দাঁত বসানোর (আসন বৃদ্ধির) দুঃসাহস দেখিও না৷ দেখলে না- ‘ইন্ডিয়া’কে কেম জীবস্মৃত করে দিয়েছি৷ তবে দিল্লিতে তেমন সুযোগ এলে নেতৃত্ব দিতে পিছিয়ে থাকব না তা কিন্ত্ত আগেভাগেই বলে দিচ্ছি৷

যদিও  কেন্দ্রে (দিল্লিতে) বিরোধিদের (ইন্ডিয়া) সরকার গড়ার তেমন সুযোগ এবার আসেনি৷ আসার কথাও ছিল না৷ কারণ আঞ্চলিক দলগুলো যে যার নিজেদের রাজ্যে আসন বাড়াতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন৷ যাতে ভাজপা নিয়ন্ত্রিত এনডিএ পরাজিত হলে বিরোধী জোটের (ইন্ডিয়া) ওপর চাপ সৃষ্টি করে ক্ষমতায় ভাগ বসাতে সুবিধে হয়৷ আর এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত বাংলাই ছিল বেশি এগিয়ে৷ ‘বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ’ই চাই-এখানের শাসকদলের এমন একটা আগ্রাসী মানসিকতার কাছে ইন্ডিয়া-র অন্যান্য দুর্বল শরিকেরা ছিলেন রীতিমতো অসহায়৷

কংগ্রেসের হাইকমান্ডের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের বিরোধ বা অন্তর্দ্বন্দ্ব, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া-র শরিক হয়েও রাজ্যে সিপি(আই)এম-এর সতী (তৃণমূল থেকে দূরত্ব রাখার দ্বিচারিতা) থাকার দৃষ্টিকটু প্রবণতা- সবকিছু মিলিয়ে বাংলার ভাজপা-বিরোধী জোট ছিল কার্যতঃ অকেজো৷ ফলে মূল নির্বাচনী লড়াইটা হয়েছে মূলত তৃণমূল কংগ্রেস আর ভাজপার মধ্যে৷ যার ফলে ভোটের অঙ্কে সুবিধে হয়েছে ভাজপার৷ কিন্ত্ত তৃণমূলের দলত্যাগীদের দাঁড় করিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেগ দিতে পারলেও সাফল্যের সবটুকু ঘরে তুলে আনতে পারেনি তারা৷

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ‘পরিবর্তন’-এর বাংলায় যা হয়েছিল আর কী৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর যোগ্য দোসর স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘন ঘন প্রচারে এসে (অনেকে বলেছেন ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন) প্রবল নির্বাচনী ‘ঝড়’ তুলেছিলেন৷ কিন্ত্ত তা সত্ত্বেও আবহাওয়া অনুকূলে আনা সম্ভব হয়নি৷ বার বার তিন অঙ্কের কথা বলেও দুই অঙ্কেই থামাতে হয়েছিল তাদের নির্বাচনী রথ৷ এবারের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনেও প্রায় একই পরিস্থিতি৷ তার মানে ভাজপা অতীত থেকে কোনও শিক্ষাই গ্রহণ করতে অপারগ একথা তারা নিজেরাই প্রমাণ করছেন৷

‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করে সে মরে নাই’-এর মতো আর কী৷ অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বাজপা গো-হারা হেরে তারা প্রমাণ করেছেন শিক্ষা নেওয়াটা তাদের ধাতে নেই৷ বরং শিক্ষা দিতেই তারা বেশি আগ্রহী৷ গতবারের পাওয়া প্রায় অর্ধেক আসন তারা খুইয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে৷ অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দল ভাজপা থেকে তো বটেই, ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শরিক কংগ্রেস থেকেও একটি আসন ছিনিয়ে নিয়েছেন৷ রাজ্য কংগ্রেসের ডাকাবুকো কাণ্ডারিকে ‘বহিরাগত প্রার্থী’ এনে দাঁড় করিয়ে হারিয়ে দিয়েছেন৷