• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

আবাস যোজনায় তৈরী হবে আরও ৩ কোটি বাড়ি, মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত 

দিল্লি, ১০ জুন –  মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। আবাস যোজনায় মানুষ যাতে আরও বেশি করে বাড়ি পান সেই  নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় গ্রাম ও শহরে ৩ কোটি বাড়ি নির্মাণের জন্য অনুদান দেবে কেন্দ্র। তবে একথা উল্লেখ্য যে,  নামে এই প্রকল্প ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ হলেও, এই খাতে কেন্দ্র দেয়

দিল্লি, ১০ জুন –  মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। আবাস যোজনায় মানুষ যাতে আরও বেশি করে বাড়ি পান সেই  নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় গ্রাম ও শহরে ৩ কোটি বাড়ি নির্মাণের জন্য অনুদান দেবে কেন্দ্র। তবে একথা উল্লেখ্য যে,  নামে এই প্রকল্প ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ হলেও, এই খাতে কেন্দ্র দেয় ৬০ শতাংশ টাকা এবং রাজ্যকে দিতে হয় ৪০ শতাংশ টাকা। 

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় মোদি ৩.০ সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এনডিএ-র সব জোটের মন্ত্রীরা।  আধিকারিকদের কথায় , নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ‘ প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই যোজনার আওতায় তিন কোটি বাড়ি নির্মাণের জন্য সরকারি সহায়তা অনুমোদন পেয়েছে।  অবস্ যোজনার বিচারে দেশে পরিবার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে আবাসনের প্রয়োজন মেটাতে ৩ কোটি অতিরিক্ত গ্রামীণ ও শহুরে পরিবারকে বাড়ি তৈরির জন্য অনুদান দেওয়া হবে। 

কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৫-১৬ সাল থেকে উপযুক্ত গ্রামীণ ও শহুরে পরিবারগুলিকে বাড়ি নির্মাণে সহায়তা করতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাস্তবায়ন করছে। ২০১৯ সালে কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় এসে মোদি জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের মধ্যে দেশে সব মানুষের মাথায় ছাদ হবে। মোদি  সরকারের দাবি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে গত ১০ বছরে আবাসন প্রকল্পের আওতায় উপযুক্ত দুঃস্থ পরিবারগুলির জন্য মোট ৪.২১ কোটি বাড়ি তৈরী করা হয়েছে বলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানানো হয়েছে।  তবে বাস্তব চিত্র হল, সবার মাথার উপর পাকা ছাদ এখনও হয়নি। কারণ, পরিবার ভেঙে নতুন পরিবার হয়েছে, বেড়েছে জনসংখ্যাও। 

বাংলার ক্ষেত্রে, ১১ লক্ষ ৩২ হাজার বাড়ি নির্মাণের জন্য ২০২২ সালে কেন্দ্র বরাদ্দ করেছিল ৮২০০ কোটি টাকা । এরপর উপযুক্ত প্রাপকদের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ এনে বরাদ্দ বন্ধ রাখা হয়। ওই প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ বাড়ি বানানোর জন্য রাজ্যকেও দিতে হত প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু গত দুই বছর ধরে কেন্দ্র ৮২০০ কোটি টাকা না দেওয়ায় রাজ্যও এগোতে পারেনি। 

এই নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক এও জানিয়েছেন, কেন্দ্র এখনই টাকা না দিলে রাজ্য সরকার নিজে থেকে সাড়ে ১১ লক্ষ বাড়ি বানানোর টাকা দেবে। এই সাড়ে ১১ লক্ষ পরিবার ছাড়াও বাংলায় কাঁচা বাড়িতে থাকে আরও প্রায় ২৫ লক্ষ পরিবার। অর্থাৎ বাংলায় সবার মাথায় পাকা ছাদের ব্যবস্থা করতে গেলে অন্তত ৩৬ থেকে ৩৭ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের অর্থ  দিতে হবে। এনডিএ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার এই ঘোষণার পর বাংলা কতটা উপকৃত হবে সেটাই এখন দেখার।

 উল্লেখ্য, চলতি বছরের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছিলেন, আরও ২ কোটি বাড়িকে আবাস যোজনার আওতায় আনা হবে। কিন্তু নতুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই সংখ্যা আরও বাড়ল।