মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন ভারত আর চিন আর ‘উন্নয়নশীল দেশ’ নয়। কিন্তু তারা এই তকমার জোরে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) থেকে ফায়দা তুলছে। এটা আর তিনি হতে দেবেন না বলে হােয়াইট হাউসের ওভাল হাউসে জানান।
উল্লেখ্য, আমেরিকা প্রথম নীতির উদগাতা ট্রাম্প মার্কিন পণ্যের ওপর ভারতের। কড়া হারে শুল্ক চাপানাের কট্টর সমালােচক। আমেরিকা চিনা পণ্যের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক চাপানাের পর বেজিং পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। এরপর থেকেই আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে। জুলাই মাসের গােড়ার দিকে ট্রাম্প বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে জানতে চেয়েছিলেন কিভাবে তারা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা স্থির করে।
চিন, তুরস্ক ও ভারতকে লক্ষ্য করেই কার্যত ট্রাম্প আঙুল তুলেছেন, কারণ এইসব দেশ বিশ্ব বাণিজ্য বিধি অনুসারে একটা নরম ব্যবহার পাচ্ছে। যদি কোনও উন্নত অর্থনীতির দেশ ডব্লিউটিও’র ফাঁকফোকর থেকে অনায্যভাবে সুযােগসুবিধা নেয় তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ট্রাম্প মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিতে ক্ষমতা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বাণিজ্যের বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য দূর করার জন্য বর্তমানে ক্লিাতে ভারত ও আমেরিকার প্রতিনিধিদের মধ্যে আলােচনা চলছে।
মঙ্গলবার পেনসিলভানিয়ায় এক সমবেশে ভাষণ দিতে গিয়েও ট্রাম্প বলেন, এশিয়ার দুই বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি ভারত ও চিন আর উন্নয়নশীল দেশ নেই, ফলে তারা ডব্লিউটিও’র সুবিধা পেতে পারে না। কিন্তু তারা উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে সুবিধা নিয়ে চলেছে, যা আমেরিকার পক্ষে অসুবিধা সৃষ্টি করছে।
উল্লেখ্য, জেনেভাভিত্তিক ডাব্লিউটিও একটি বিশ্ব সংস্থা যারা দেশগুলির মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বিশ্ব বাণিজ্য বিধি অনুসারে উন্নয়নশীল দেশগুলি দীর্ঘ সময়ব্যাপী নানা ধরনের পদ্ধতিগত বাণিজ্য সুবিধা পেয়ে থাকে। কিছু কিছু রফতানি ভরতুকিও তাদের কপালে জোটে। ডব্লিউটি’র আমেরিকার সঙ্গে ন্যায্য ব্যবহার করবে বলে ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ডব্লিউটিও চিন ও ভারতের মত কিছু দেশকে ‘উন্নয়নশীল’ বলে মনে করছে। কিন্তু এইসব দেশ ‘উন্নত’ বলেই ট্রাম্প মনে করেন। তিনি এইসব দেশকে ডব্লিউটিও’র সুবিধা নিতে দেবেন না বলে ট্রাম্প হুশিয়ারি দেন। তাঁর কথায়, আমরা আর এটা হতে দেব না আমরা ছাড়া প্রত্যেকই বাড়ছে।