গতকাল কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার অফার ফিরিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, মধ্যস্থতার অফার পুরােটার নির্ভর করছে ভারত ও পাকিস্তানের তা গ্রহণ করার উপর। যেহেতু ভারত তার প্রস্তাব গ্রহণ করেনি, তাই এই বিষয়টি আর আলােচনার টেবিলেই নেই। এবার পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘে দরবার করল। ইসলামাবাদ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর নিয়ে আলােচনার প্রস্তাব দিয়েছে।
ভারত সমপ্রতি কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে। ফলে উপত্যকা বিশেষ মর্যাদা হারিয়েছে। কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল আইনে পরিণত হয়েছে। ফলে জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ ২টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।
এরপর তেড়েফুড়ে উঠেছে পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে সরব হতে তারা চিনকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা করে। এবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর নিয়ে আলােচনার প্রস্তাব পেশ করল পাকিস্তান।
পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি লিখে বলেছেন, পাকিস্তান কোনও সংঘর্ষে প্ররােচনা দেবে না। এটাকে আমাদের দুর্বলতা বলে ভাবা উচিত হবে না ভারতের। এটা পরিষ্কার নয় যে, এই প্রস্তাবে কী ভাবে সাড়া দেবে ১৫ সদস্যের কাউন্সিল।
পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘে জানিয়েছে, চিন তাদের পাশে আছে। ভারত ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর পাক বিদেশমন্ত্রী বেজিংয়ে গিয়ে চিনকে বােঝানাের চেষ্টা করে। এরপর ভারত চুপ করে বসে থাকেনি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিদেশে গিয়ে একইভাবে চিনকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা করে। রাষ্ট্রসংঘ পাকিস্তানের প্রস্তাবে সাড়া দেয় কিনা, এখন সেটাই দেখার।
এর আগে এক বার কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ভারত তা পত্রপাঠ নাকচ করে। তার কিছুদিন পর সেই প্রস্তাবের ব্যাপারেই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক। ট্রাম্পের জবাব, ‘ওরা যদি কারও মধ্যস্থা বা সাহায্য চায়, আমি রাজি। আমি এ ব্যাপারে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলেছি। ভারতের সঙ্গে খােলাখুলি আলােচনা করেছি। ওরা চাইলে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করব’। পরে আমেরিকা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে মধ্যস্থতার রাস্তা থেকে সরে আসে।