‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের পরেই অখিলেশ এবং অভিষেকের এই বৈঠক ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে।বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির মধ্যে সমান্তরাল কোনও সমীকরণ তৈরি হচ্ছে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন, বিরোধী জোটের বৈঠকের পরও ইন্ডিয়ার অন্যতম শরিক দুই দল সমাজবাদী পার্টি এবং তৃণমূলের শীর্ষ নেতার আলাদা করে এই সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ। আবার একাংশের মতে, বুধবারের বৈঠকেই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, আপাতত কেন্দ্রে সরকার গড়া তাদের লক্ষ্য নয়। তার বদলে একতার সঙ্গে বিরোধী হিসাবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে এবং তাঁদের জন্য দাবি আদায় করে আনবে। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, এই বৈঠক নেহাতই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’।
উল্লেখ্য, বাংলায় গেরুয়া শিবিরকে কোণঠাসা করার পর দিল্লির রাজনীতিতে গুরুত্ব বেড়েছে তৃণমূলের। দলনেত্রীও নিজে দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে না গিয়ে এগিয়ে দিয়েছেন অভিষেককে। বুধবার খাড়গের বাসভবনে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকেও বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বৈঠক শেষে সবার আগে বেরিয়ে আসেন খাড়গে। খানিক পিছনেই ছিলেন অভিষেক। তাঁকে দেখে পিঠ চাপড়ে হাত মিলিয়ে অভিনন্দন জানান সুপ্রিয়া সুলে, ওমর আবদুল্লারা। সেই ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, জোট শরিকদের মধ্যে কংগ্রেসের পরে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে সবচেয়ে বেশি আসন এনে দিয়েছে অখিলেশের দল সমাজবাদী পার্টি। লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে ৩৭টি আসন জিতেছে তারা। তারপরেই রয়েছে ২৯টি আসন পাওয়া তৃণমূল। সংখ্যার বিচারে সমাজবাদী পার্টি ও তৃণমূল কংগ্রেস বাকিদের টেক্কা দিয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে বারবার লড়াইয়ে এই দুই রাজ্যের বিরোধী শিবির বারবার হেনস্থার শিকার হয়েছে। তাই দুই নেতার এদিনের বৈঠককে বলা হচ্ছে ‘পাওয়ার অফ সিক্সটি সিক্স’। দেশের রাজনীতির নজর এখন সেই ‘৬৬-র শক্তি’-র দিকেই। আগামী কয়েকদিনে ইন্ডিয়া জোটের সমীকরণ কিছু বদলায় কিনা তা বলে দেবে সময়।