• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভোটের ময়দানে বিশ্বজয়ী দুই ক্রিকেটারের বাজিমাত

নিজস্ব প্রতিনিধি— ক্রিকেট মাঠে ছক্কা মেরে যেভাবে ইউসুফ পাঠান ও কীর্তি আজাদ দলকে জিতিয়েছেন, ঠিক সেইভাবেই ছক্কা মেরে লোকসভা ভোটের ময়দানে বাজিমাত করলেন৷ কেউ ভাবতেই পারেননি, ভিনরাজ্য থেকে এসে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে ঝড় তুলবেন ইউসুফ পাঠান ও কীর্তি আজাদ৷ আবার মনে রাখতে হবে, ইউসুফ লড়াই করেছেন পাঁচ বারের সাংসদ দাপুটে নেতা কংগ্রেস প্রার্থী অধীর

নিজস্ব প্রতিনিধি— ক্রিকেট মাঠে ছক্কা মেরে যেভাবে ইউসুফ পাঠান ও কীর্তি আজাদ দলকে জিতিয়েছেন, ঠিক সেইভাবেই ছক্কা মেরে লোকসভা ভোটের ময়দানে বাজিমাত করলেন৷ কেউ ভাবতেই পারেননি, ভিনরাজ্য থেকে এসে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে ঝড় তুলবেন ইউসুফ পাঠান ও কীর্তি আজাদ৷ আবার মনে রাখতে হবে, ইউসুফ লড়াই করেছেন পাঁচ বারের সাংসদ দাপুটে নেতা কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরির সঙ্গে৷ আর কীর্তি আজাদ সম্মুখ সমরে লড়াই করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির আরেক লড়াকু প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সঙ্গে৷ ইউসুফ পাঠান বহরমপুর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন৷ আর কীর্তি আজাদ বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছেন৷ নিঃসন্দেহে এই দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে ক্রীড়ামহলে প্রচুর গুঞ্জন ছিল৷ অনেকেই ভাবতে শুরু করেছিলেন, ভিনরাজ্য থেকে এসে এই দুই ক্রিকেটার কোনওভাবেই বিরোধীপক্ষকে বেগ দিতে পারবেন না৷ কিন্ত্ত সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বহরমপুরে অধীর চৌধুরির সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করে ইউসুফ পাঠান জয়ী হলেন৷ এটা অনেকটা ব্রেট লি’র বিরুদ্ধে ব্যাটিং করার মতো৷ আসলে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিটি জায়গা একেবারে হাতের তালুর মতো চেনেন অধীর চৌধুরি৷ শুধু তাই নয়, লোকসভায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন তিনি৷ তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করাটা খুব সহজ ছিল না৷ এটা মনে রাখতে হবে, ইউসুফ পাঠান ২০১১ সালে ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন৷ তিনি জানেন খেলার চরিত্র কীভাবে বদলে দিতে হয়, প্রতিপক্ষ দলের বোলারকে মোকাবিলা করতে গেলে ব্যাটটা কীভাবে শক্ত করে ধরতে হয়৷ সেই অভিজ্ঞতাতেই ঝোড়ো ব্যাটিং খেলেছেন ইউসুফ বহরমপুরের ভোটের ময়দানে৷ গত দু’মাস ধরে বহরমপুরে মাটি কামড়ে ছিলেন তিনি৷ এমনকি ভাই ইরফান পাঠান বহরমপুরে এসেছিলেন ইউসুফের হয়ে প্রচার করতে৷ ইউসুফ সবসময় একটু পিছনে থেকে খেলতে ভালবাসতেন৷ তাই ২২ গজের সেই ভাবনা থেকেই ভোটের ময়দানে একইভাবে খেলে গিয়েছেন অধীর চৌধুরির বিরুদ্ধে৷ এটা মনে রাখতে হবে বীরেন্দ্র সেওয়াগের চোট থাকায় অভিষেক হয়েছিল ভারতীয় দলে বিশ্বকাপে ইউসুফের৷ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ওপেন করতে এসেছিলেন তিনি৷ সেদিনের ওপেনার হিসেবে তিনি যেমন জয়ের হাসি এসেছিলেন বিশ্বকাপে, তেমনই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ের হাসি হাসলেন অধীর চৌধুরির বিরুদ্ধে৷

ইউসুফ পাঠান জয়ের পরে বলেন, ‘বহরমপুরের মানুষের সঙ্গে আমার একটা আত্মীয়তা গড়ে উঠেছে৷ আমি মানুষের রায়কে মর্যাদা দেব৷ আামি দিল্লিতে সংসদ ভবনে দাঁড়িয়ে বহরমপুরের মানুষের কথা জানাব৷ কীভাবে আরও উন্নত পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্যও মুখর হবো৷ বহরমপুরের মানুষকে আমি কোনওদিনই ভুলব না৷’

অন্যদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ লড়াই করলেন বিজেপির দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে৷ ১৯৮৩ সালে কপিল দেব বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য কীর্তি আজাদ৷ লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কপিল দেবের প্রুডেনশিয়াল কাপ হাতে নিয়ে কীর্তি আজাদ যে সোনালী ছবি তুলেছিলেন, সেই অতীত ছবি আবার দেখতে পাওয়া গেল কীর্তি আজাদের নির্বাচনে বাজিমাত করার পরে৷ কীর্তি আজাদকে অনেকেই বহিরাগত বলে নানারকম কথা বলেছিলেন৷ কিন্ত্ত কীর্তি কখনওই পিছিয়ে পড়েননি৷ বরঞ্চ সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে একের পর এক ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে মানুষকে কাছে টেনে নিয়েছেন৷ তাঁর কাছে এটা নতুন চ্যালেঞ্জ ছিল৷ কীর্তি আজাদ এই চ্যালেঞ্জে জয়ী হয়ে নতুন কীর্তি স্থাপন করলেন৷