• facebook
  • twitter
Friday, 18 October, 2024

চতুর্থবার জয়ী সৌগত

নিজস্ব প্রতিনিধি – সবুজ আবির উড়লো বাংলা জুড়ে৷ তৃণমূলের চোখ ধাঁধানো ফলাফল উত্তর ২৪ পরগণা জেলায়৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ছিল ব্যারাকপুর, যা পরিচিত ছিল ‘অর্জুন-গড়’ বলেই৷ এবার সেই অর্জুন গড়ে দাঁড়িয়ে অর্জুন অধ্যায়ে ইতি টানলেন তৃণমূলের পার্থ ভৌমিক৷ বহু অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নন, প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েই বাজিমাত পার্থর৷ অর্জুন বধ করে পার্থর মাথায়

নিজস্ব প্রতিনিধি – সবুজ আবির উড়লো বাংলা জুড়ে৷ তৃণমূলের চোখ ধাঁধানো ফলাফল উত্তর ২৪ পরগণা জেলায়৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ছিল ব্যারাকপুর, যা পরিচিত ছিল ‘অর্জুন-গড়’ বলেই৷ এবার সেই অর্জুন গড়ে দাঁড়িয়ে অর্জুন অধ্যায়ে ইতি টানলেন তৃণমূলের পার্থ ভৌমিক৷ বহু অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নন, প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েই বাজিমাত পার্থর৷ অর্জুন বধ করে পার্থর মাথায় উঠলো জয়ের মুকুট, এবার সাংসদ হয়ে তিনি পাড়ি দেবেন দিল্লি, ব্যারাকপুরবাসীর হয়ে আওয়াজ তুলবেন সংসদে৷ প্রায় ৬০ হাজারের বেশি লিড নিয়ে অর্জুন-বধ করেছেন পার্থ৷ মঙ্গলের সকাল থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই লড়েছেন তৃণমূলের পার্থ এবং বিজেপির অর্জুন৷ গণনার প্রথম কয়েক রাউন্ডে অর্জুন এগিয়ে ছিলেন৷ তারপর বেলা বাড়তে বাড়তেই নাটকীয় পরিবর্তন হয় ব্যারাকপুর কেন্দ্রে৷ বেলা দেড়টার ভোট গণনার হিসেব অনুযায়ী, এগিয়ে ছিলেন পার্থ এবং তাঁর ব্যবধান ছিল ২৭, ৪৫৫৷ তারপরই এক লাফে অর্জুনকে পিছনে ফেলে জয় নিশ্চিত হয় তৃণমূলের৷

এদিন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষ হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজেই ফোন করে ডাকেন পার্থকে৷ সেই নির্দেশ পাওয়া মাত্রই ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে কালীঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন পার্থ৷ জরুরি বৈঠকের জন্যই মূলত মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পান তিনি৷ জয়ের মুকুট পড়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পার্থ৷ খোশমেজাজে তিনি বলেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা আছে৷ মানুষ গুন্ডামির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে৷ ব্যারাকপুরের মানুষ তাঁর ছেলেদের হাতে পেন দেখতে চান, বোম নয়৷” অর্জুনের দলবদলই তাঁর পরাজয়ের মূল কারণ, এমনটাই মনে করছেন পার্থ৷ অর্জুনের নাম না নিয়ে কটাক্ষের সুরে পার্থর আরও সংযোজন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত কারও মাথার ওপর থাকলে সে সিংহ এবং মুখ্যমন্ত্রী হাত সরিয়ে নিলে সে নেংটি ইঁদুরেরও অধম৷ ” এদিন পার্থর জয়ের পর ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের বাইরে উপস্থিত হন তৃণমূল সমর্থকেরা, মেতে ওঠেন আবির খেলায়৷ ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি যেন গগন স্পর্শ করে৷ ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী সহ বাকি ছয়টি বিধানসভার বিধায়কও এদিন উপস্থিত হন পার্থর সাথে জয়ের আনন্দ ভাগ করে নিতে৷

অন্যদিকে দমদম লোকসভা কেন্দ্রে যে বিরোধীদের কোনো ঠাঁই নেই তা হ্যাটট্রিক জয়ের মাধ্যমে পূর্বেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন দমদম লোকসভার চতুর্থবারের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়৷ তবে এবার তিনি হলেন না ‘প্রাক্তন’, ফের সৌগতই পরলেন জয়ের মুকুট৷ ২০০৯ সাল থেকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সাংসদ তিনি৷ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রের প্রতিটি আসনেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল৷ তবে ২০১৯ এবং ২০২১ দুই নির্বাচনেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল বিজেপি৷ অন্যদিকে, এবার সৌগতর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত এবং বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী৷ চতুর্থবার তাঁদের পেছনে ফেলে প্রায় ২০ হাজারের (কম-বেশি) লিড নিয়ে জয়ী হন সৌগত৷