• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

বিজেপির আসন সংখ্যা কমায় নতুন কিং মেকার হবেন নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু

দিল্লি, ৪ জুন:  বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে নতুন নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছেন জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমার এবং টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু। বিজেপি-র আসন সংখ্যা কমায় এই দুই দলের নেতাই হবেন নতুন কিং মেকার। আজ, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর দেখা যাচ্ছে, ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র ২৪১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যা ২৭২-এর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা

দিল্লি, ৪ জুন:  বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে নতুন নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছেন জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমার এবং টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু। বিজেপি-র আসন সংখ্যা কমায় এই দুই দলের নেতাই হবেন নতুন কিং মেকার। আজ, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর দেখা যাচ্ছে, ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র ২৪১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যা ২৭২-এর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেকটা পিছিয়ে। বিজেপির প্রচারের মুখ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জয়ের পথ সঙ্কুচিত হয়েছে। এই মুহূর্তে বিজেপি ২৪১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। এবং চূড়ান্ত ফল ঘোষিত হওয়ার সময়ে যদি কোনও পরিবর্তন না হয়, তাহলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু হবেন সরকার গড়ার কারিগর।

নীতিশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডু দুজনেই একসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধী পক্ষে ছিলেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগের মুহূর্তে তাঁরা বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধেন। নীতিশ কুমারের দল জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি এই মুহূর্তে যথাক্রমে ১৪ এবং ১৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে মোদী চাইবেন নীতিশ এবং চন্দ্রবাবু নাইডু তাঁদের সঙ্গে থাকুক। যদিও নীতিশ কুমার পাল্টিবাজ বলে পরিচিত। এবং ইন্ডিয়া জোট গঠনের পিছনে তিনি ছিলেন অন্যতম কারিগর।

একমাত্র নীতীশ কুমারই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলগুলিকে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ধারণা নিয়েছিলেন। এবং তিনি বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করেছিলেন। তিনি অবশ্য নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে ইন্ডিয়া ব্লককে ত্যাগ করেন। কিন্তু তার নৈতিক অবস্থান বিজেপিকে কঠিন অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। এছাড়াও, নীতীশ কুমার একজন উচ্চাভিলাষী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত। অনেকে বিশ্বাস করেন যে, তিনি বিরোধী জোট ছেড়েছিলেন, কারণ তাঁরা তাঁকে ভারত ব্লকের জাতীয় আহ্বায়ক করার বিষয়ে একমত হতে পারেনি।

একইভাবে চন্দ্রবাবু নাইডুও অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন বলে জানা যায়। ২০১৯ সালে, নাইডু মোদিকে “কট্টর সন্ত্রাসী” বলে অভিহিত করেছিলেন।জবাবে চন্দ্রবাবুকে মোদী “ভল্লাল দেব” বলে অভিহিত করেছিলেন। প্রসঙ্গত সুপারহিট ভারতীয় সিনেমা ‘বাহুবলী’-তে প্রতিপক্ষের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ভল্লাল দেব।

গত দশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মোদি তার দলকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছেন। এমতাবস্থায় তিনি কীভাবে নীতীশ কুমার ও নাইডুকে সঙ্গে নিয়ে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন তা নিয়ে সকলেরই একটি কৌতূহল থেকে যাচ্ছে।