ঢাকা- ইউরোপীয় ইউনিয়ন মনে করছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় রকমের জটিলতা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের নেতা জঁ ল্যামবার্ট সাংবাদিকবের বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারাদন্ডের পর পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে, যদিও দলের পক্ষ থেকে কোনও সহিংস আন্দোলন হচ্ছে না।
কিন্তু প্রচন্ড চালা ক্ষোভ যে কোনও সময়ে পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরাএর মধ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, দেখা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে। খোঁজখবর নিয়েছেন, খালেদা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা।
আওয়ামি লিগ অবশ্য মনে করছে, আশঙ্কার কিছু নেই। বিএনপির পক্ষে কোনও বড় আন্দোলন বা বিক্ষোভ গড়ে তোলার সামর্থ্য নেই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।
এই মনোভাব থাকে আওয়ামি লিগ তাদের ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের নির্বাচনী প্রস্তুতে ছেদ পড়েনি।
অতীতের সহিংস আন্দোলনে জনসমর্থন না পাওয়ায় বিএনপির মধ্যে কিছুটা উপলব্ধি এসেছে বলেও মনে করছেন আওয়ামি লিগের নেতারা। যার কারণে বিএনপি সহিংস ছেড়ে অহিংস আন্দোলনের পথে নেমেছে।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে লিগ দলনেত্রী শেখ হাসিনা বছরের শুরুতেই নির্বাচনী প্রচারের সূচনা করেছেন।
আওয়ামি লিগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ডঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে আমাদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল, তবে ভয়ে ছিলাম না আমরা। খালেদা জিয়া একটি বড় রাজনৈতিক দলের সভানেত্রী।
দুবার পূর্ণ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার সাজায় কিছু প্রতিক্রিয়া হবে, এ আশঙ্কা আমাদের ছিল। বিষয়টিতে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে প্রশাসনিক প্রস্তুতি রেখেছিলাম। আমরা এখনও যে গুরুত্ব দিচ্ছি না, তা নয়। আমাদের কোয়শল হচ্ছে এটা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুভাবে মোকাবিলা করা।