দীর্ঘদিন বিজেপির জোট সঙ্গী ছিল অবিভক্ত শিবসেনা। তবে, ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তাই নিয়ে বিবাদের জেরে বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে তৈরি করেছিলেন নয়া জোট, মহা বিকাশ আগাড়ি। তারপর, তাঁর দল ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছেন একনাথ শিন্ডে। শিন্ডের শিবসেনা ফের মিশে গিয়েছে এনডিএ-তে।এরপরেও উদ্ধব লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের শরিক হিসেবেই লড়াই করেছেন। এমনকি, অতীতে প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য সমর্থন ও ভোট চাওয়ার জন্য, চলতি মাসে তিনি মহারাষ্ট্রের ভোটারদের কাছে ‘ক্ষমাও চেয়েছেন’। কিন্তু, নির্বাচনের ফল বদলে দিতে পারে অনেক কিছুই এমন ইঙ্গিত মিলেছে।
যদিও রবি রানার এই দাবি মানতে চাননি উদ্ধব ঠাকরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত, সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তবে, বিজেপির সঙ্গে রি-ইউনিয়নের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়েও দেননি তিনি। সঞ্জয় রাউত বলেছেন, “উদ্ধব ঠাকরে ২৫ বছর ধরে শিবসেনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নির্বাচনের পর তিনিই দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। রবি রানার মতো ব্যক্তির উদ্ধব ঠাকরেকে নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই। ”
নরেন্দ্র মোদি ভোট প্রচারের সময়ও প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই উদ্ধব ঠাকরেকে এনডিএ-তে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুতে, মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারে এসে উদ্ধব ঠাকরে এবং শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন শিব সেনা ও এনসিপি-কে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে থাকার বদলে, তাদের দল ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া অংশগুলির সঙ্গে মিশে যেতে বলেছিলেন। তিনি বলেন, “নকল এনসিপি এবং নকল শিবসেনা কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যেতে চাইছে। এইভাবে মরার বদলে, আপনারা অজিত পাওয়ার এবং একনাথ শিন্ডের কাছে ফিরে আসুন।” আলাদাভাবে বার্তা দিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরেকে। বলেছিলেন, “আমার প্রতি বালাসাহেব ঠাকরের ভালবাসা এবং স্নেহ ছিল। তাই, আমি যে কোনও সময় উদ্ধব ঠাকরেকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।”
ভোটের ফল প্রকাশের পর, মহারাষ্ট্রে আবার রাজনৈতিক নাটক দেখা যাবে কি না তা নিয়ে এখন রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে। অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভা আসনের লড়াইয়ে এনডিএ-কে এগিয়ে রাখা হয়েছে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটকে কেউই ২৬টির কম আসন দেয়নি। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোট সর্বোচ্চ ২৫টি আসন জিততে পারে বলে আভাস পাওয়া গিয়েছে।