• facebook
  • twitter
Saturday, 19 October, 2024

২০৪৭ এর মধ্যে ‘ বিকশিত ভারত ‘, খোলা চিঠিতে রূপরেখা আঁকলেন মোদি 

দিল্লি, ৩ জুন – দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেইসঙ্গে আগামী ২০৪৭ সালের টার্গেটও বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের প্রচার শেষ হতেই কন্যাকুমারী যান মোদি। সেখানে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ৪৫ ঘণ্টার ধ্যানে বসেছিলেন তিনি। ধ্যান শেষে বিমানে ফেরার পথে দেশবাসীর উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর লেখায় একদিকে তিনি যেমন লোকসভা ভোটের প্রচারের অনুভূতি

দিল্লি, ৩ জুন – দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেইসঙ্গে আগামী ২০৪৭ সালের টার্গেটও বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের প্রচার শেষ হতেই কন্যাকুমারী যান মোদি। সেখানে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ৪৫ ঘণ্টার ধ্যানে বসেছিলেন তিনি। ধ্যান শেষে বিমানে ফেরার পথে দেশবাসীর উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর লেখায় একদিকে তিনি যেমন লোকসভা ভোটের প্রচারের অনুভূতি নিয়ে লিখেছেন, অন্যদিকে ভবিষ্যৎ ভারতের জন্য তাঁর নতুন সংকল্প নেওয়ার পরিকল্পনার রূপরেখাও জানান । 

দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠির শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর মন বেশ কিছু অভিজ্ঞতা ও আবেগ সমৃদ্ধ হয়েছে। তিনি লেখেন, ‘ আমি নিজের মধ্যে শক্তির সীমাহীন প্রবাহ অনুভব করছি। এতদিন প্রচার পর্বের প্রতিটা অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা আমার চোখের সামনে ভাসছে।ভোট প্রচারের সময়ে অজস্র মুখের ভিড় দেখেছি, নারী শক্তি অনুভব করেছি, মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি। এত ভালবাসা পেয়ে আপ্লুত। ধ্যানে বসার পর আমি যেন বাহ্যিক জগত থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলাম।” এই চিঠিতে মোদির কথায় একাধিকবার উঠে এসেছে স্বামী বিবেকানন্দের নামও। 
 
প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘ ভারতের উন্নয়নের গতিপথ আমাদের গৌরবে পূর্ণ করে তোলে। কিন্তু একই সঙ্গে ১৪০ কোটি নাগরিককে তাদের দায়িত্বের কোথাও মনে করিয়ে দেয়। এখন একটি মুহূর্ত নষ্ট না করে আমাদের বৃহত্তর লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের নতুন স্বপ্ন দেখতে হবে, স্বপ্নগুলো বাঁচাতে হবে, বাস্তবে রূপায়িত করতে হবে।’ 
 
প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘ আমাদের ভারতের উন্নয়নকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে দেখতে হবে। এর জন্য আমাদের ভারতের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বোঝাও প্রয়োজন। ভারতের শক্তিকে স্বীকার করে বিশ্বের কল্যানে ব্যবহার করতে হবে।  আমাদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।’  
 
মোদি জানিয়েছেন,, দেশকে ‘বিকশিত ভারত’ তৈরি করার ক্ষেত্রে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কাজ করতে হবে ‘জিরো ডিফেক্ট, জিরো এফেক্ট’ মন্ত্র নিয়ে। গতি, মাপ, পরিসর ও মান এই চারটি ক্ষেত্র বজায় রেখে আগামী দিন কাজ করার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০৪৭ সালের মধ্যে যাতে ভারত উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারে, সেই লক্ষ্যমাত্রাই বেঁধে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।