কলকাতা, ৩ জুন: আগামীকাল, মঙ্গলবার ১৮তম লোকসভা ভোটের গণনা। তার ঠিক একদিন আগে, অর্থাৎ আজ সোমবার পুনরায় ভোটগ্রহণ হল বারাসাত ও মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে। দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই একটি করে কেন্দ্রে এই ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে বারাসতের ৬১ নম্বর কদম্বগাছি সর্দার পাড়া এফ পি স্কুলের দুই নম্বর রুমে ফের ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এটি দেগঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে অবস্থিত। এছাড়া কাকদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রের ২৬ নম্বর আদ্দির মহল শ্রীচৈতন্য বিদ্যাপীঠ এফপি স্কুলে পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। ভারতের নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে একটি চিঠিতে জানিয়েছে,
“আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট আর ও /সংশ্লিষ্ট ডিইও/১৭-বারাসাত পিসি এবং ২০-মথুরাপুর (এস সি) পিসি-র পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনের জন্য ১ জুন, ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত ভোটের বিষয়ে এবং সমস্ত উপাদান পরিস্থিতি বিবেচনা করার পরে, কমিশন এতদ্বারা প্রতিনিধিত্বের ধারা ৫৮-এর উপ-ধারা (২) এর অধীনে ঘোষণা করে, পিপল অ্যাক্ট, ১৯৫১, যে ১ জুন, ২০২৪ তারিখে নিম্নলিখিত ভোট কেন্দ্রগুলিতে পূর্বোক্ত নির্বাচনের জন্য গৃহীত জরিপ (নীচের টেবিলের ৩ কলামে উল্লিখিত) অকার্যকর হবে। এবং ৩ জুন, ২০২৪ তারিখ ভোটগ্রহণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার, ২০২৩ এর হ্যান্ড বুকের ১৩ অধ্যায়ের ১৩.৬২ অনুচ্ছেদে থাকা কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে উল্লিখিত ভোট কেন্দ্রগুলিতে একটি নতুন ভোট গ্রহণের জন্য নীচের টেবিলের কলাম (৪) এ উল্লেখ করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত গত ১ জুন লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম এবং চূড়ান্ত পর্বে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি), ভারতীয় সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
শনিবার লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ দফার ভোটের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের বেয়ারবাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে একটি সংঘর্ষ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মেরাগঞ্জে তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যেও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বসিরহাটের সন্দেশখালিতে শনিবারের সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে গেলে, স্থানীয় মহিলারা প্রতিরোধ করে এবং রবিবার হাতাহাতি শুরু হয়। এদিন বিজেপি কর্মী সাধন নন্দীকে গ্রেফতার করতে এসে এই ঘটনার সম্মুখীন হয় পুলিশ।