• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

হাতের পাঁচ আম পাতা

গরমে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা৷ তাই গরমটা অনেরে কাছেই অপ্রিয় ঋতু৷ কিন্তু অপ্রিয় হলেও এই ঋতু আবার একটা কারণে অনেকের ভীষণ প্রিয়৷ সেটা হল আম৷ আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন! কিন্ত্ত আম পাতা কয়জন খান? এই ভুলটা করেন বলেই তাঁরা একাধিক স্বাস্থ্যগুণ থেকে বঞ্চিত হন৷ তাই বিপদ আরও বাড়ার আগেই নিয়মিত খাওয়া

গরমে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা৷ তাই গরমটা অনেরে কাছেই অপ্রিয় ঋতু৷ কিন্তু অপ্রিয় হলেও এই ঋতু আবার একটা কারণে অনেকের ভীষণ প্রিয়৷ সেটা হল আম৷ আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন! কিন্ত্ত আম পাতা কয়জন খান? এই ভুলটা করেন বলেই তাঁরা একাধিক স্বাস্থ্যগুণ থেকে বঞ্চিত হন৷ তাই বিপদ আরও বাড়ার আগেই নিয়মিত খাওয়া শুরু করুন আম পাতা৷ এই কাজটা সেরে ফেললেই সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে৷ এমনকি বশে থাকবে প্রেশার৷ সেই সঙ্গে আর কী কী উপকার পাবেন, তা জেনে নিন৷
স্বাস্থ্যের ভিলেন হল হাই ব্লাড সুগার৷ তাই যেন তেন প্রকারেণ রক্তে শর্করার লেভেলকে বশে রাখতে হবে৷ আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে আম পাতা৷ কারণ এই পাতায় রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি উপাদান যা কিনা রক্তে সুগার বাড়তে দেয় না৷ শুধু তাই নয়, এতে মজুত ৩বিটা টারাক্সেরল এবং ইথাইল অ্যাসিটেট নামক দুটি উপাদানও ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত৷ তাই সুস্থ থাকতে চাইলে ডায়াবিটিস রোগীরা যত দ্রুত সম্ভব এই পাতা সেবন করুন৷

হাই ব্লাড হল নীরব ঘাতক৷ এই রোগকে বশে না রাখলে অচিরেই হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ডিজজ, স্ট্রোক থেকে শুরু করে একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে৷ তাই যেভাবেই হোক প্রেশারকে কন্ট্রোল করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা৷ আর এই কাজে আপনাকে যোগ্যসঙ্গত দিতে পারে হাইপোটেনসিভ উপাদান সমৃদ্ধ আম পাতা৷ তাই উচ্চ রক্তচাপে ভুক্তভোগীরা নিয়মিত এই পাতা সেবন করতে ভুলবেন না যেন৷
আজকাল অনেকেই পেটের আলসারের ফাঁদে পডে় ভীষণই কষ্ট পান৷ তবে ভালো খবর হল, এই সমস্যার সহজ সমাধান করতে পারে আম পাতা৷ তাই পেটের আলসারে ভুক্তভোগীরা নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি রোজের ডায়েটে আম পাতাকেও জায়গা করে দিন৷ তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে৷
তবে শুধু আলসার নয়, এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা হেঁচকি বন্ধ করার কাজে ওস্তাদ৷ তাই এবার থেকে অনবরত হেঁচকি উঠলে এই পাতার শরণাপন্ন হতে দেরি করবেন না যেন৷
শরীরে মেদের বহর বাড়লে একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাডে়৷ তাই যত দ্রুত সম্ভব ওজন কমাতে হবে৷ আর এই কাজে আপনার হাতের পাঁচ হতে পারে আম পাতা৷ কারণ এই পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা বিপাকের হার বাড়ায়৷ আর মেটাবোলিজম রেট বাড়লে যে অচিরেই ওজন কমবে, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই আজ থেকেই আপনার ওয়েট লস ডায়েটে এই পাতাকে জায়গা করে দিন৷

উপকার পেতে চাইলে ১-২টি কচি আম পাতা ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন৷ তারপর ওইসব টুকরো জলের সাহায্যে গিলে নিলেই হবে কেল্লাফতে৷ আবার চাইলে কয়েকটি কচি আম পাতা দিয়ে চা বানিয়েও সেবন করতে পারেন৷ এই কাজটা করলেও কিন্ত্ত শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফিরে যাবে৷ তাই আর দেরি না করে আজ থেকেই আম পাতা সেবন করুন৷   ডায়াবেটিস থেকে থাকে আর খুব বেশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে তবে তা দিনের বেলাতেই খেয়ে নিন। রাতে শেষ পাতে মিষ্টিমুখ না করাই শ্রেয়। সকালে খালি পেটেও মিষ্টি খাওয়া চলবে না।