• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

রক্তেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের বাসা 

শঙ্খ অধিকারী আমরা যতই আধুনিক হয়ে উঠছি , জীবন যাত্রার মান যতই উন্নত হচ্ছে ততই যেন আমরা প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি৷ দূষণ আর পরিবেশের ক্রম অবনমন আমাদেরর গভীর সমস্যার সম্মুখে টেনে এনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে৷ এই রকম এক ভয়ঙ্কর সমস্যা হলো মাইক্রো প্লাস্টিকের সমস্যা৷ আধুনিক মানুষের রক্তেও  ধারা পড়ছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব৷ মাইক্রো প্লাস্টিক হলো

শঙ্খ অধিকারী
আমরা যতই আধুনিক হয়ে উঠছি , জীবন যাত্রার মান যতই উন্নত হচ্ছে ততই যেন আমরা প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি৷ দূষণ আর পরিবেশের ক্রম অবনমন আমাদেরর গভীর সমস্যার সম্মুখে টেনে এনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে৷ এই রকম এক ভয়ঙ্কর সমস্যা হলো মাইক্রো প্লাস্টিকের সমস্যা৷ আধুনিক মানুষের রক্তেও  ধারা পড়ছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব৷ মাইক্রো প্লাস্টিক হলো আমাদের ডেলি লাইফে ব্যবহার করা প্লাষ্টিকের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা৷  এগুলি পরিবেশে মেশে না ফলে প্রচুর পরিমানে দূষণ ঘটায়৷  এই দূষণের মাত্রা এবং ভয়াবহতা এতো পরিমানে বেড়ে গেছে যে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা এবং হু (WHO) এই বিষয় টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত৷ ভবিষ্যতের কোনো ভাবনা চিন্তা না করে যথেচ্ছ হারে আমরা প্লাস্টিক ব্যবহার করে চলছি৷
প্লাস্টিকজাত দ্রব্য ব্যবহারে চিন, ভারত, ব্রাজিল এই দেশগুলো পৃথিবীর মধ্যে শীর্ষ স্থানে আছে৷  কিন্ত্ত মোট যত পরিমান প্লাস্টিক উৎপাদিত হয়, তার মাত্রা ৮ শতাংশ পুনরায় ফেরত আসে অর্থাৎ অত্যন্ত কম পরিমান প্লাস্টিক রিসাইক্লিং হয়, এই তথ্যও যথেষ্ট উদ্বেগ জনক সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিয়ে এতো সচেতনতা স্বত্বেও এর উৎপাদনে আমরা রাশ টানতে পারিনি৷  মোট উৎপাদিত প্লাস্টিকের ৫০ শতাংশ ই সিঙ্গেল ইউজ৷ প্রতি বছর সারা পৃথিবী তে মোট ৫০০ বিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ উৎপাদিত হয় কিন্ত্ত তার সব কটি আর পুনরায় যথাযথ ভাবে নষ্ট করা হয় না ফলে নানা মাধ্যমে ছোট ছোট  প্লাস্টিকে বিভক্ত হয়ে এই মাইক্রো প্লাস্টিক মানব শরীরে চলে আসছে৷
আমরা জেনে বা না জেনে নানা দ্রব্য ব্যবহার করি যেখানে মাইক্রো প্লাস্টিকের অস্ত্বিত্ত রয়েছে৷ যেমন, কসমেটিক দ্রব্য, সিনথেটিকের কাপড়, গাড়ির টায়ার এই সব৷ এই মাইক্রোপ্লাস্টিক মানুষের শরীরে প্রবেশ করে নানা ধরনের মারন ব্যাধির সূত্রপাত ঘটায়৷  ২০২২ সালে প্রথম মানুষের দেহে মাইক্রো প্লাস্টিকের অস্ত্বিত্ত আবিষ্কৃত হয়৷ তার পর থেকেই সচেতন হয়ে ওঠে স্বাস্থ্য মহল৷ সিঙ্গেল ইউজ জলের বোতলকে বাদ দিতে বার বার অনুরোধ করা হয়েছে৷ এ বিষয়ে আমাদের দেশের সরকার অবশ্য ২০১৯ সাল থেকেই এ বিষয়ে একটি আইন প্রানয়নও করেছে৷  এ ছাড়া ২০১৬ সাল থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য গুলিকে সাধারণ বর্জ্যের থেকে আলাদা ভাবে সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে৷ এসব স্বত্বেও মাইক্রো প্লাস্টিকের হাত থেকে বাঁচতে হলে নিজেদের সচেতন হয়ে এধরণের প্লাস্টিক ব্যবহার কমাতে হবে, না হলে হয়তো অনেক বড়ো বিপদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে৷