কটক, ৩০ মে– প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়েকে বন্ধু হিসেবেই মনে করা হয়৷ তাই বৃহস্পতিবার যখন ওডি়শায় ভোটপ্রচারে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এর পিছনে ‘অন্তর্ঘাত’ থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন৷ তখন অনেকেই ভেবেছিল এটি বন্ধুর প্রতি তাঁর উৎকণ্ঠা৷ কিন্তু সেই উৎকণ্ঠাকে রীতিমতো মিথ্যাচার বলে মোদিকে তোপ দেগে বসলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়েকই৷
শুক্রবার নবীন জানিয়ে দিলেন, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ৷ গত এক মাস যে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের জন্য লাগাতার প্রচার চালিয়েছেন, সেকথাও মনে করিয়ে দিলেন৷ এইসঙ্গে ‘বন্ধু’ মোদির উৎকণ্ঠায় জল ঢেলে বলেন, ভোটের লোভে আমার অসুস্থতা নিয়ে মিথ্যাচার চলছে৷ আগেও ওডি়শায় প্রচারে গিয়ে দাপুটে আমলা তথা বিজেডি নেতা ভি কার্তিকেয়ন পান্ডিয়ানের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় দখলের অভিযোগ করেছিলেন মোদি৷
এদিন ওডি়শার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তিনি (মোদি) এর আগেও প্রকাশ্যে বলেছেন যে আমি তাঁর ভালো বন্ধু৷ আমার বক্তব্য হল, প্রধানমন্ত্রী মোদি যদি আমার স্বাস্থ্য নিয়ে এতই উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন, তাহলে তিনবার জনসভায় উচ্চস্বরে বক্তৃতা না দিয়ে একটা টেলিফোন করে আমার স্বাস্থ্যের খবর নিলেই তো পারতেন৷” নবীন আরও বলেন, “এর মানে হল উনি (মোদি) যা করছেন, তা হল নির্বাচনের সময় ভোট পাওয়ার কৌশল৷ দিল্লির লোকেরা গত ১০ বছর ধরে এই গুজব ছড়াচ্ছে… আমার স্বাস্থ্য পুরোপুরি ঠিক আছে৷”
এবারও বিজেপির সভায় পাণ্ডিয়ানের বিরুদ্ধে ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী৷ বলেন, নবীনের শুভাকাঙ্ক্ষীরা উদ্বিগ্ন৷ গত এক বছরে তাঁর স্বাস্থ্যের ক্রমাগত অবনতি হয়েই চলেছে৷ বর্তমানে তিনি নিজে কিছুই করতে পারেন না৷ এর পরেই চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন তোলেন মোদি৷ বলেন, ‘নবীনবাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতির পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কি না৷ নবীনবাবুর নামে ওডি়শায় পর্দার আড়ালে থেকে ক্ষমতা ভোগ করা গোষ্ঠীর কোনও হাত আছে কি না, বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই বিষয়ে তদন্ত হবে৷’ পছন্দের আমলা তথা বিজেডি নেতাকে তাঁর সঙ্গে লডি়য়ে দেওয়ার এই কৌশল ভালোভাবে নেননি নবীন পট্টনায়ক৷
