ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কাশ্মীর ধাক্কায় ফের বেসামাল। ভারতকে কুটনৈতিক চালে বেকায়দায় ফেলতে ৫টি দাওয়াই বাতলেছে ইসলামাবাদ। তার উত্তরে দ্বিপাক্ষিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব দিল ভারত।
পাকিস্তানকে পুনর্বিবেচনার আর্জির সঙ্গে ভারতের বার্তা, বিশ্বের কাছে বিপজ্জনক ছবি তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে। তবে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ইসলামাবাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে না। কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পুলওয়ামার মতে হামলার হুমকি দেন। প্রমাণু শক্তিধর দুই দেশের যুদ্ধও যে আগামী দিনে সম্ভব সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন ইমরান।
এরই ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে বহিষ্কার করে ইসলামাবাদ। ভারতের সঙ্গে চুড়ান্ত সংঘাতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রাখল পাক সরকার। সেই সঙ্গে তারা ভারতে পাঠাচ্ছে না পাক সরকারের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে।
কুটনৈতিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক থেকে জানান হয়েছে, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তান একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের কথা আমরা বিভিন্ন রিপাের্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অমনের কথাও বলা হয়েছে।
কুটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আগের মতাে রাখার জন্য পাকিস্তানকে সিদ্ধান্ত পর্যালােচনা ও পুনর্বিবেচনা করে দেখার প্রস্তাব দিয়ে ভারতের বক্তব্য, ‘এটা আশ্চর্যের নয় কাশ্মীরের সামগ্রিক উন্নতিতে ভারতের যেকোনও পদক্ষেপ পাকিস্তান নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে। সেই ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখায় সন্ত্রাসের মদত দেওয়ার ঘটনাকে সাফাই দেওয়ার কাজে লাগায়। বিশ্বের কাছে ভারতের এই পদক্ষেপকে বিপজ্জনক বলে তুলে ধরতে চেষ্ট করছে পাকিস্তান। তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে না’।
কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাতে পাকিস্তানের নাক গলানাে ভারত সহ্য করবে না বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে ভারতের পদক্ষেপ অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতের সংবিধান সব সময় সার্বভৌম ছিল, আছে এবং থাকবে। তাতে হস্তক্ষেপ করে উপমহাদেশে আতঙ্ক ছড়ানো কখনই সম্ভব হবে না’।
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলােপের পিছনে মােদি সরকারের উদ্দেশ্য ছিল জম্মু ও কাশ্মীরে উন্নতি, লিঙ্গ বৈষম্য, সমাজিক এবং আর্থিক বৈষম্য দূর করা। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের জীবন ধারায় এবং অর্থনীতিতে উন্নতির জোয়ার আনা।