• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রেমাল পরবর্তী বন্যায় বিধ্বস্ত অসম, দুর্ভোগে ৪১ হাজার মানুষ

গুয়াহাটি, ৩০ মে:  ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিধ্বস্ত অসম। রাজ্যটি এখন ভয়াবহ বন্যার সঙ্গে লড়াই করছে। কারণ নদীগুলি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়ে চলেছে। দক্ষিণ, মধ্য এবং নিম্ন অসমের নিম্নাঞ্চলের প্লাবনে ৪১,০০০-এরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বন্যার ফলে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তথ্য অনুযায়ী, কমপক্ষে ৮টি জেলা বন্যা কবলিত। এই ৮টি জেলা হল

গুয়াহাটি, ৩০ মে:  ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিধ্বস্ত অসম। রাজ্যটি এখন ভয়াবহ বন্যার সঙ্গে লড়াই করছে। কারণ নদীগুলি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়ে চলেছে। দক্ষিণ, মধ্য এবং নিম্ন অসমের নিম্নাঞ্চলের প্লাবনে ৪১,০০০-এরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বন্যার ফলে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তথ্য অনুযায়ী, কমপক্ষে ৮টি জেলা বন্যা কবলিত। এই ৮টি জেলা হল কাছাড়, গোলাঘাট, হাইলাকান্দি, হোজাই, করবি আংলং, করবি আংলং পশ্চিম, করিমগঞ্জ এবং নগাওঁ। ভয়াবহ এই বন্যায় এখনও পর্যন্ত ৪১ হাজার ৭১৯ মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। অনেককে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছে। অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বুলেটিন জানিয়েছে, রাজ্যে ৬টি সামগ্রী বিতরণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে ১৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

দক্ষিণ অসমের বরাক নদীর জল ক্রমশ ফুলে ফেঁপে উঠছে। যা জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঢুকে পড়েছে। যার ফলে ক্রমবর্ধমান জলস্তর এবং বন্যার ঝুঁকির কারণে শিলচরের (চাচার) জেলা প্রশাসন স্কুলগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে৷ শুধুমাত্র নগাঁও জেলা কর্তৃপক্ষ আগাম সতর্কতা স্বরূপ ৩১টি স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে কামপুরের কাছে কাপিলি নদীর ধারে একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ফলে এইসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

প্রসঙ্গত বর্ষাকালে বন্যা অসমবাসীর কাছে যেন একটি বার্ষিক অগ্নিপরীক্ষার সমান। যা ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর রাজ্যের সম্পত্তি, ফসল এবং মানুষের জীবনহানির মতো উল্লেখযোগ্য ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে নিয়ে আসে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল নদী বাঁধগুলি ভেঙে যাওয়া এবং ছাপিয়ে যাওয়া নদীর জল আটকাতে না পারা। এই বছরে অসমে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন সরকার বর্ষাকালের এই বন্যা পরিস্থিতি আটকাতে রাজ্যের সমস্ত নদী বাঁধগুলিতে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ সমীক্ষা চালায়। সরকার আশাবাদী যে, এই সমীক্ষা থেকে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধে বড় পদক্ষেপ নিতে পারবে। এবং রাজ্যবাসীকে অনেক বেশি সুরক্ষিত করবে।